স্টাফ রিপোর্টার : কুলাউড়া উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কুলাউড়া উপজেলায় আগাম বন্যা হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় অনেক এলাকাবাসী।
১ জুন শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে কুলাউড়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক খান শাহেদ।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাজকুমার কালোয়াড় রাজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নারীনেত্রী নেহার বেগম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন টিলাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালিক, রাউৎগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী সোহাগ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আহমদ নোমান, শরীফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান,বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুইট খা, ভূকশিমইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মনির,সহ উপজেলা পরিষদের কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ও কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ,সাংবাদিক হাসান আল মাহমুদ রাজু প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সভাপতির বক্তব্যে বলেন, কুলাউড়া উপজেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বাধিক পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত ২৮ মে উপজেলার জয়চন্ডী, কর্মধা ইউনিয়নে যেসকল জায়গায় নদীর বাঁধ ভাঙন হয় তার খবর পেয়ে আমরা সে সকল স্থানগুলো পরিদর্শণ করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে চাল বিতরণ করেছি। রাস্তাঘাট ভাঙা, বাঁধ ভাঙা স্থানগুলো দ্রæত মেরামত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে উপজেলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ক্ষতিগ্রস্থদের নামের তালিকা করে সরকারি বরাদ্দ তাদেরকে প্রদান করা হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ফজলুল হক শাহেদ বলেন, কুলাউড়ায় আগাম বন্যা হওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে উপজেলাবাসী। বিশেষ করে কৃষি ক্ষেত্রে ফসলি জমি, ফিসারীর মাছ, ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা প্রদান করব এবং নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো দ্রæত মেরামত করা হয় তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।