সিলেট প্রতিনিধি :
প্রতিষ্ঠানিক নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের কারণে সিলেটের বিশ^নাথের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইনের এমপিও (বেতন-ভাতা) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫জুন থেকে তার (এমপিও) ‘ষ্টপ পেমেন্ট টেমপরারিলী’ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে ২০২৪ সালের চলতি জুন মাস থেকে তিনি তার বেতন-ভাতা পাচ্ছেননা।
স্থানীয় ও প্রশাসনিক সূত্রে জানাগেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে বিশ্বনাথের তেলিকোনা এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইন এবং উপাধ্যক্ষ মুখলিছুর রহমানের মধ্য দ্বন্ধ চলে আসছে। অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ দু’জনই তেলিকোনা গ্রামের বাসিন্দা এবং তারা একে অপরের নিকটাত্মীয়। কিন্তু তারপওর ওই দুই শিক্ষকের দ্বন্ধের বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্তও গড়িয়েছে। এডহক কমিটিক গঠন করতে না দেওয়া আর নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ মাদ্রাসার এডহক কমিটির নেতবৃন্দ অধ্যক্ষকে ৪ মাসের বাধ্যতামুলক ছুঠিতে পাঠান। এরপর ৫জুলাই এক বৈঠকে এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তারপর ৯জুলাই অধ্যক্ষের এমপিও সাময়িক স্থগিত করতে এডহক কমিটির সভার বিবরণ ও নানা অনিয়ম দুর্নীতি উল্লেখ করে ঢাকাস্থ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন পাঠান এডহক কমিটির সভাপতি নিজামুল ইসলাম ও ভারপ্রপ্ত অধ্যক্ষ মো. হরমুজ আলী।
এর দুইমাসের মাথায় ১০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ও শিক্ষাবোর্ডের আদেশ কপি নিয়ে অধ্যক্ষ মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করতে চান। কিন্তু বহিস্কৃত দাবি করে প্রতিপক্ষ এডহক কমিটির নেতৃবৃন্দরা তাকে বাঁধা দেন। এসময় উত্তেজনা দেখাদিলে মাদ্রাসায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ও এলাকাবসাী সমন্বয়ে শিক্ষাবোর্ডের পরবর্তি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্দান্ত নেওয়া হয়। এরপর দুর্নীতিসহ এডহক কমিটির অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই এঘটনার প্রায় ৮মাস পর ওই অধ্যক্ষের এমপিও সাময়িক স্থগিত করেন মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ-প্রসঙ্গে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুতাহির মো. হোসাইন এ-প্রতিবেদককে বলেন, দুর্নীতি কিংবা অনিয়ম নয়। মিথ্যা তথ্যসম্বলিত অভিযোগ দিয়ে প্রতিপক্ষের শিক্ষক ও এডহক কমিটির সদস্যরা তার বেতন-ভাতা (এমপিও) সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।
এ-প্রসঙ্গে কথা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার মো. আব্দুল হামিদ এ-প্রতিবেদককে বলেন, সরকারি বিধিমালা লঙ্ঘণ করায় গত ৫জুন অধ্যক্ষ আবু তাহির মো. হোসাইনের বেতন-ভাতা (এমপিও) বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।