৬ দিন পর আদালতের নির্দেশে সমাধি থেকে কিশোরের লাশ উত্তোলন

প্রকাশিত: ১০:২৫ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৪ | আপডেট: ১০:২৫:পূর্বাহ্ণ, জুন ২৮, ২০২৪

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রিংকন বিশ্বাস ( ১৬ নামের এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার ছয়দিন পর আদালতের নির্দেশে সমাধি থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

গআজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চিলাউড়া গ্রাম থেকে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রওশন আহমদের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুশংকর পাল, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আফসার আহমদ,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদুল ইসলাম বকুল॥

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফসর আহমদ বলেন, লাশটি উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানান, উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল (নয়াগাঁও) গ্রামের শ্রীকান্ত বিশ্বাসের ছেলে রিংকন বিশ্বাস একই গ্রামের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আখলাকুর রহমান লুলু মিয়ার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। গত শনিবার (২২ জুন) রিংকন বিশ্বাস আম গাছ থেকে পড়ে মারা যায় বলে তাঁর পরিবারকে জানান গৃহকর্তা লুলু মিয়া ও তাঁর লোকজন। পরে ওই কিশোর গৃহকর্মীর মৃত্যু স্বাভাবিক মনে করে; পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের লোকজন লাশটি দাফন করে। পরদিন থেকে এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়। শুরু হয় নানা আলোচনা সমালোচনা! খবর পেয়ে রোববার রাতে সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর সার্কেল) সুভাশীষ ধর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই গৃহকর্মীর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। এর পরদিন সোমবার ওই গৃহকর্মীর বাবা শ্রীকান্ত বিশ্বাস জগন্নাথপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে আজ লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।