ইন্ডিপেন্ডেন্স কাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। বিসিবি নর্থ জোনকে ২৮ রানে হারিয়ে সবার আগে ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল চার দিনের টুর্নামেন্টে সদ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটি।
ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন: ২৬২/৫ (৫০ ওভার)
বিসিবি নর্থ জোন: ২৩৪/৯ (৫০ ওভার)
ফল: ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ২৮ রানে জয়ী।
মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ওয়ালটন সেন্ট্রাল। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে দলটির সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান। লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৩৪ রানে থামে বিসিবি নর্থ।
ব্যাট হাতে ওয়ালটন সেন্ট্রালের ক্রিকেটাররা দারুণ পারফরম্যান্স করে লড়াকু স্কোর ছুড়ে দেয়। বল হাতেও সবাই মিলেই লড়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের নর্থজোনের বিপক্ষে। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি নর্থ জোনের। প্রথম ওভারেই মোসাদ্দেকের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ওপেনার তানজীদ হাসান তামিম (১)। দলটি দ্রুত ঘুরে দাঁড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন ও নাঈম ইসলামের জুটিতে। দুজনেই খেলতে থাকেন সমান তালে। নাজমুল ইসলাম অপু ৩০ রানে ইমনকে ফিরিয়ে ভেঙে দেন ৮৬ রানের জুটি। ক্রিজে এসেই মৃত্যুঞ্জয়ের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্শাল আইয়ুব।
হঠাৎ করে দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে নর্থ জোন। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে ছিলেন নাঈম। ইমনের সঙ্গে জুটির পর এবার মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গী বানিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। দুজনে জুটি গড়েন ৬৭ রানের। ৬৯ বলে নাঈম টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৭২ রানে তাকে থামিয়ে স্বস্তি এনে দেন সৌম্য সরকার। ৯৯ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে তিনি এই রান করেন। নাঈম ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মোসাদ্দেকের শিকার হয়ে ৫৯ বলে ৪৩ রান করে ফেরেন। ক্রিজে এসে আরিফুল হকও (৭) দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারেননি।
শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী চেষ্টা করেছিলেন। তার ব্যাটে দেখা গিয়েছিল কিছু দৃষ্টিনন্দন শটও। এক পাশে থেকে লড়েছেন, সঙ্গী হিসেবে কাউকে পাননি। জয় থেকে দল যখন ৩৯ রান দূরে তখন শামীম নিজেও থেমে যান। ৩৯ বলে ২৯ রান করে আউট হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে। জীবন পেয়ে আকবর আলী (১২) কাজে লাগাতে পারেননি। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন সানজামুল ইসলাম।
বল হাতে ওয়ালটন সেন্ট্রালের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ৬ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট করে নেন সৌম্য-মোসাদ্দেক। একটি করে উইকেট নেন সাকিব ও অপু।