লাখাইয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা আত্মসাতের পায়তারা চলছে 

প্রকাশিত: ১০:৩৩ অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৪ | আপডেট: ১০:৩৩:অপরাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৪
সুমন আহমেদ বিজয়ঃ
লাখাই উপজেলার ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা আত্মসাতের পায়তারা চলছে।
লাখাই উপজেলার ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে মোট ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
লাখাই উপজেলার মৃণালিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,বুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ফুলতৈল কুসুমবালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
মাদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
চান্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
কামালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,
মৌবাড়ী ধনাই মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভবানীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কাজ শেষ হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন পত্র দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে কাজ শেষ হওয়ার আগেই উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রত্যায়ন পত্র দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়,উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শেষ হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন পত্র দেওয়ার পর ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ ও কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাতের পায়তারা করছে ।
গত ২৯ জুন রোজ শনিবার মৃণালিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কাজে নয়- ছয় চলছে এবং বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের বিষয়ে টাইলস মিস্ত্রি ও প্রধান শিক্ষকের পারস্পরিক বক্তব্য দেন।
সূত্রে জানা যায় ফুলতৈল কুসুম বালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অনেক বিদ্যালয়ে এখনও ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শুরু হয় নাই।
মৃণালিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
প্রধান শিক্ষক কৌশিক দাশ জানান,বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের শতভাগ কাজ করার চেষ্টা করছি,কাজ শেষ হতে আরও কয়েকদিন লাগবে।
কাজ শেষ না হওয়ার আগেই বিলের বাউছার অফিসে জমা দিলেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান জুন ক্লোজিং তাই জমা দিয়েছি এখনও টাকা পাই নাই।
মৃণালিনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেবাশীষ দেব জানান কাজ চলছে,আমি নিজেই কাজ করাইতাছি।
শিক্ষা অফিসার মাহমুদুল হক জানান
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ ১০০ পার্সেন্ট হয় নাই, তবে ৭০/৭৫ পার্সেন্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের
কাজ শুরু বা শেষ না হওয়ার আগেই আপনি কাজ হয়েছে মর্মে প্রত্যায়ন পত্র দিয়েছেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান বরাদ্দকৃত টালা লেস হয়ে যাবার আশংকায় দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে মর্মে  প্রত্যায়ন পত্র দেওয়া হয়েছে।
বিল পাশ করাতে আপনার অফিসে কোন টাকা দিতে হয় কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান এবিষয়ে আমার জানা নাই।
লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন জানান আমি প্রে অর্ডার করে আমার নিকট রেখেছি,নিজে স্ব স্ব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ পরিদর্শন করব এবং কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে টাকা দেওয়া হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজের বিষয়ে আমি অবগত না।প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ কোন কোন বিদ্যালয়ে শুরু আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে কাজ শেষ হওয়ার আগেই কাজ শেষ হয়েছে মর্মে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের প্রত্যায়ন পত্র দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান দায়িত্বশীলতার জায়গায় তিনি যথাযথ করেন নাই।