জগন্নাথপুরে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ

প্রকাশিত: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪ | আপডেট: ৯:৪৮:পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৮, ২০২৪

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগি চিকিৎসা নিচ্ছেন। জ্বর সর্দি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগির সংখ্যা বেশি। এরমধ্যে শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।আজ রোববার (৭ জুলাই) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৫ জন রোগি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে গত কয়েক দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে শিশুরা হাসপাতালে আসছেন। শিশুদের পাশাপাশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বয়স্করা রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে রোববার পর্যন্ত ৬২ জন রোগি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এরমধ্যে ২৭ শিশু, ১৯ জন নারী এবং পুরুষ রোগির সংখ্যা ১৬ জন। তারা অধিকাংশই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এছাড়া প্রতিদিন জ্বর-সর্দি নিয়ে অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে আসছেন।
ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ছাতারকই গ্রামের আনছার মিয়া বলেন, গত চার দিন আগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তাঁর দেড় বছরের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে আসলে চিকিৎসক তাকে ভর্তি দেন। এরপর থেকে হাসপাতালে রয়েছেন।
হাসপাতালে ভর্তি দুই মাসের এক শিশুর মা রুহিত দাস বলেন, হাসপাতালে ভিতরে শিশু রোগিদের সংখ্যা খুব বেশি। শিশুরা শুধু কান্না করছে। তিন দিন ধরে শিশু সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে আছি।
দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স জ্যোৎস্না রাণী জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেশি। বয়স্করা বেশিভাগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। কয়েকদিন আগে রোগিদের চাপ আরও বেশি ছিল। এখন চাপ একটু কমেছে। বিকেলে হয়তো আবার বেড়ে যাবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শারমিন আরা বলেন, গত কিছুর দিন ধরে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের পাশাপাশি বয়স্কদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এ ৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রায়শই ৬০ থেকে ৭০ জন রোগি ভর্তি থাকেন। বন্যা পরিস্থিতিতে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণসহ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মেডিকেল ক্যাম্প করছি।

প্রসঙ্গত, সস্প্রতিকালে অব্যাহত বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে জগন্নাথপুর উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি উন্নতি কমেও দুর্ভোগ কমেনি।