মৌলভীবাজার তিন উপজেলার দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা স্হায়ী সমাধানে কুলাউড়ায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪ | আপডেট: ১১:৪৩:পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া-জুড়ী ও বড়লেখাসহ ৩ উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে কুলাউড়া পৌরসভার আয়োজনে পৌরসভার জনমিলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কুলাউড়া পৌর মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কুলাউড়ার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাও. ফজলুল হক খান সাহেদ‌, বড়লেখার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজির উদ্দিন, জুড়ীর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কিশোর রায় চৌধুরী মনি, বড়লেখার পৌর মেয়র আবু ইমাম কামরান, কুলাউড়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রাজকুমার কালোয়ার রাজু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নেহার বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য বদরুল আলম সিদ্দিকী নানু, জয়চণ্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মাহবুব, সাগরনাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নুর, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অরবিন্দু ঘোষ বিন্দু, পৌর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম এনাম, বাংলাদেশ জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ময়নুল ইসলাম শামীম, কাদিপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম মিন্টু প্রমুখ।

 

 

এ ছাড়া আরোও বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, সোনালী ব্যাংকের অবঃ কর্মকর্তা মোঃ মনির উদ্দিন, পৌর কাউন্সিলর সাইফুর রহমান সুমন, রাবেয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুছ ছালাম, সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম ও কল্যাণ প্রসূন চম্পু, ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আখই, তালামীয নেতা খন্দকার অজিউর রহমান আসাদ প্রমুখ।

 

 

সভায় বক্তারা ৩ উপজেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতার মূল কারণ সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বুড়িকিয়ারি বাঁধ,ইট ভাটা অপসারণে ও কুশিয়ারা, জুড়িনদী,আনফানাই নদী ও হাকালুকি খননের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান।
এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে স্বারকলিপি প্রদান করা হবে। এর মধ্যে জুড়ি ও বড়লেখায় এলাকার জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের নিয়ে দীর্ঘস্হায়ী বন্যা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হবে।

১ মাসের মধ্যে বাঁধ অপসারণ অথবা জলাবদ্ধতা নিরসনের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ৩ উপজেলার সাধারণ জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই বাঁধ কাটবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য,
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার পিঠাইটিকর এলাকায় বুড়িকিয়ারিতে তৈরি বাঁধ ও ইটভাটাসহ একাধিক কারন রয়েছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ি ও বড়লেখায় ২০১৮ ও ২০২২ যে বন্যা হয়েছিলো এবং ২০২৪ যে বন্যা শুরু হয়েছে, তা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী। মৌলভীবাজারের তিন উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ পানিবন্দী। ২০০৪ সালে এ রকম বন্যা হলেও তা অঞ্চলভেদে ১৫-২০ দিন স্থায়ী ছিল। ২০১০সালে ও বন্যা হয়েছিলো।
কুশিয়ারা,জুড়ী ও আনফানাই নদী, হাকালুকি হাওরের বিল
খনন করলে বন্যার ভয়াবহতা এতটা বাড়ত না। মৌলভীবাজারে হাকালুকি হাওরের বন্যার পানিতে কুলাউড়া পৌরসভাসহ, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার রাস্তাঘাট হাজার কোটি থাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে ও এই তিন উপজেলায় দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী।

এই দীর্ঘ সময়ে বন্যার জন্য অতিবর্ষণ ও উজানের ভারতীয় অঞ্চল থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি হাকালুকি হাওর, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর ভরাট হয়ে যাওয়া, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর সংযোগস্থল সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের বুড়িকিয়ারিতে তৈরি একটি ক্রসবাঁধএবং সেখানে নির্মিত একাধিক ইটভাটাকে দায়ী করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পরিবেশকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এ ধারণা পাওয়া গেছে।