জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরসভার পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসীর পক্ষে তিনটি অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ১৬৬ জন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্র পৃথকভাবে জগন্নাথপুরের ইউএনও, প্রাথমিক শিক্ষা কর্তকর্তা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দাখিল করা হয়।
অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায়, ১৩৩ নং পশ্চিম ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন। স্লীপের ফান্ডের টাকা, ভুয়া ভাইচার তৈরী করে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা উত্তোলন করে করছেন। জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়ার কথা বলে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা, শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি খেয়াল না করে নিজের বালু, পাতরের ব্যবসার কাজে বাহিরে ব্যস্ত থাকাসহ বিদ্যালয়ের ছাদে কৃষিপন্যের বাগান তৈরী করে নিজের আখের গোছাতে দেদারছে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ে কোন কমিটি না থাকায় প্রধান শিক্ষক তাঁর ইচ্ছামতো নানা অনিয়মে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। দ্রুত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা করে শিক্ষকের অপসারন দাবী করা হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছমির উদ্দিন বলেন, সরকরি নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধা আগুল দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম দুর্নীতি করে আসছেন। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রতি যত্মশীল না হয়ে তিনি বালু, পাতরের ব্যবসার জড়িত থাকায় বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের করে আসছেন। এসব বিষয়ে মৌখিকবারে বারবার স্থানীয় শিক্ষা অফিসকে অবহিত করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আণিত অভিযোগ ভিত্ত্বিহীন।
জগন্নাথপুরের ইউএনও আল বশিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র পাওয়া গেছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্র নিশ্চিত করেছে।