নারী শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি, ইউএনও বরাবরে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪ | আপডেট: ১২:৪৮:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪

 

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে শ্রেণি কক্ষে ঢুকে নারী শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক পরিবারের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আতাহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সহকারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন, উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে, শিক্ষক রজত কান্তি দাস, গোপাল চন্দ্র দাস, আলমগীর হোসেন, সালেহা পারভীন, শাহজাহান সিরাজ, নুরুল হক, পুষ্পিতা রানী তালুকদার, ভুক্তভোগী শিক্ষক ভাষা রায় ও তাঁর স্বামী জয় চৌধুরী প্রমুখ।

পরে ভুক্তভোগী আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ভাষা রায় হামলাকারী লায়েক খানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
এসময় উপজেলার সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষক ভাষা রায় বলেন, বিদ্যালয়ের চারপাশে পানি থাকায় বিদ্যালয়ে ভর্তিবিহীন এক শিশুকে দপ্তরিকে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিশুর বাবা লায়েক খান আমার উপর অতর্কিত হামলা করেন। আমি এর বিচার চাই।

উপজেলা শিক্ষা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি রূপক কান্তি দে বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি হামলাকারীকে গ্রেপ্তার না করা হয়; তাহলে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ রাখা হবে। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত সকল শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুতই প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।

উল্লেখ, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের আটঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলমান অবস্থায় আটঘর গ্রামের লায়েক খান শ্রেণি কক্ষ ঢুকে ওই নারী শিক্ষকের চুলের মুঠি ধরে মারপিট শুরু করেন। পরে অন্য শিক্ষকরা তাঁকে রক্ষা করেন। এরপর এক পক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করেন। এতে উপজেলার শিক্ষক পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।