এ,আর,কে শিপুঃ
গত ১৬/০৯/২০২৪ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমেনার পরিবারের সদস্যরা ঘরের একটি কক্ষে বিছানার ওপর গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাকে দেখতে পান। মৃতদেহের হাত ও পায়ে কাটা ও বিছনায় রক্তের দাগ ছিল। আমেনার(২৩) ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আমেনা বেগম উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের দক্ষিণ রাউৎগাঁও মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম জুনেদ ও নিলুফা বেগমের মেয়ে। তিনি কুলাউড়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আমেনার সহপাঠীরা আজ বৃহস্পতিবার বরমচাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মানববন্ধন করে ছয় দফা দাবি তুলে ধরে। তারা সবার দৃষ্টি আকর্ষণ বলে
ঘটনার পরের দিন আমাদের ব্যাচমেট
আমেনা বেগমের বাড়িতে যাই।
তাদের পরিবারের সবার কথা শুনে বুঝতে পারলাম যে এটা আত্মহত্যা নয় এটা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমিনার যে রুমে থাকে তার রুমে কিন্তু দরজা নেই, তাকে যে রুমের ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ফ্যানের মধ্যে নয় টিনের নিচে কাঁটের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, এটা তার নাগালের বাইরে ছিল, পাশের রুমে তার ভাই এবং অন্য পাশের রুমে মা-বাবা থাকে।
মৃত্যুকালীন সময় যে ঘটনা ঘটেছিল তাদের পরিবার এবং পুলিশের তদন্তে আমরা জানতে পারি তার হাতে ব্লেটের কাঁটা ছিল দুই হাতে ৪২টি এবং দুই পায়ে ব্লেটের কাঁটা ছিল আরো ৪০ টি হাত-পায়ের সর্বমোট ৮২টি ছিল।
আমাদের মনে হয় না একজন সুস্থ মানুষ হাত পায়ে ৮২টি আঘাত করতে পারবে যখন ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে পাওয়া যায় তখন তার গলায় সাদা ওড়না ছিল।ওড়নার মধ্যে পুলিশ কোন ব্লাডের দাগ পায়নি, এবং তার পরিবারের কেউ ,কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন না। মৃত আমিনা বেগমের বাবা বলছেন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আমেনার মৃত্যু আত্মহত্যা না কি হত্যা?
আমিনা বেগম আমাদের ব্যাচমেট। তাকে সেই ক্লাস ওয়ান থেকে চিনি। একসাথে হাইস্কুলে ও পড়াশোনা করেছি ,বরমচাল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে। এত নম্র ,ভদ্র একটি মেয়ের আকস্মিক মৃত্যু শুনে হটাৎ থমকে গিয়েছি আমরা এস এস সি ব্যাচ ২০১৮।
আমেনা ছোটবেলা থেকেই দুর্দান্ত মেধাবী ,ভদ্র মেয়ে হিসেবে পরিচিত ছিলো।
এরকম একটি মেয়ে আত্মহত্যা করবে বিশ্বাস হচ্ছে না।
তাই আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই এবং এই মৃত্যুর সাথে যারা জড়িত থাকলে আমরা এর সুষ্ঠ বিচার এবং ফাঁসি চাই।
তাদের দাবি সমূহ নিম্নে তুলে ধরলাম..
১) আমেনার মৃত্যু হত্যার না কি আত্নহত্যা এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই।
২) আমেনার এই অকাল মৃত্যুর জন্য কেউ কি দায়ী সে বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য প্রসাশনের কাছে জোর দাবি জানাই।
৩) আমেনা যে রুমে থাকে তার রুমে কিন্ত দরজা নেই ,তাকে যে রুমে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় ফ্যানের মধ্যে নয় ,টিনের নিচে কাঁটের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।এটা তার নাগালের বাইরে ছিল ,সে উচ্চতায় ৫ ফুট ১ ইঞ্চি অথচ বর্গা ১৫ ফুট উপরে ছিল সে কিভাবে হাত-পায়ের রগ কাটার পর ফাঁসিতে ঝুলবে বিষয়টি রহস্য জনক।
৪) আমেনার মৃত্যুর পর যে চিরকুট টি পাওয়া গেছে ,সেটা তার হাতের লেখার সাথে কোন মিল নাই। এই চিরকুটের হাতের চাপ ও আমেনার হাতের চাপ ল্যাবে পরিক্ষার জন্য জোর দাবি জানাই।
৫) পরিবার ও পাড়া প্রতিবেশীর হাতের লেখা পরিক্ষা করা হোক।
৬) আমেনার মৃত্যুর আগে তার শরীরের কোনো অংশে কারো হাতের ছাপ মিলেছে কি না সে বিষয় পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট তদন্ত করা হোক।
এই সব বিষয় গুলো যদি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বেড়িয়ে আসে তা হলে আমেনার মৃত্যুর সাথে কেউ জড়িত থাকলে সেটা স্পষ্ট প্রমাণিত হবে।
তাই আমরা এর সুষ্ঠ তদন্ত চাই এবং অপরাধী যে কেউ হোক না কেন সুষ্ঠ বিচার এবং ফাঁসি চাই।
এ সময় বরমচাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোরশেদ আহমদ খান (সুইট) উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি বলেন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমেনার হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ময়নতন্ত্রের রিপোর্ট দ্রুত প্রধানের। এলাকার সুশীল সমাজ ও সামাজিক কর্মীদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন সম্পন্ন হয়।