বিশিষ্ট সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান আর নেই পরিকল্পনামন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলের শোক
মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান আর নেই। শনিবার
(৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া
ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ প্রথিতযশা সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর অ্যাডভোকেট
মতিউর রহমার পীর । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যা
আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ১৯৬৪
সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে
জন্মগ্রহন করেন। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। তাঁর ছোট ভাই অ্যাডভোকেট
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সুনামগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য।
পরিকল্পনামন্ত্রীর শোক : সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোক
প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রথিতযশা এই সাংবাদিকের
মৃত্যুতে আরও শোক প্রকাশ ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন,সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও
জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা
চলপ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম
নূরুল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ ইউেিমন্স
চেম্বারের সভাপতি হুসনা হুদা, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান
ইমদাদ রেজা চৌধুরী,ক্রীড়া সংগঠক আমিনুল ইসলাম টিপু, পারভেজ চৌধুরী।
আরও শোক প্রকাশ করেছেন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর
রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, সাধারণ
সম্পাদক জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ
সম্পাদক এমরানুল হক চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন।
করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে তাকে
ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন
অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ শনিবার রাতে তার উত্তরার বাসায় নেওয়া হবে। বাদ এশা উত্তরা চার নম্বর
সেক্টরের পার্ক মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া,
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পীর
হাবিবুর রহমানের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে। বেলা তিনটায়
মরদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য
রাখা হবে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয়
মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে
পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো
ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান।