
বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমান আর নেই। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ প্রথিতযশা সাংবাদিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর অ্যাডভোকেট মতিউর রহমার পীর । মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্যা আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাংবাদিক পীর হাবিবের মৃত্যুতে মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ডাকসুর সাবেক ভিপি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এক শোক বার্তায় বলেছেন- “বরেণ্য সাংবাদিক আমার প্রিয় ব্যক্তি কাছের বন্ধু সিলেট বিভাগের কৃতিসন্তান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক এবং বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।”
উল্লেখ্য বরেণ্য সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান ১৯৬৪ সালের ১৬ ফেব্রæয়ারি সুনামগঞ্জ শহরে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। ৮ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সপ্তম। তাঁর ছোট ভাই অ্যাডভোকেট
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ সুনামগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন: পত্রিকা খুললেই পরীমনি, খুকুমণি আর দীপুমনি: সংসদে সুলতান মনসুর
গত ২২ জানুয়ারি তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর বিশিষ্ট চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহর পরামর্শে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনামুক্ত হলেও কিডনি জটিলতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টা ৮ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আজ শনিবার রাতে তার উত্তরার বাসায় নেওয়া হবে। বাদ এশা উত্তরা চার নম্বর সেক্টরের পার্ক মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হবে। বাদ জোহর জাতীয় প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পীর
হাবিবুর রহমানের মরদেহ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নেওয়া হবে। বেলা তিনটায় মরদেহ তার প্রিয় কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেওয়া হবে।
সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবুর রহমানের মরদেহ। বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদে এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়ীতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন পীর হাবিবুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে মুম্বাইয়ের জাসলুক হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে ক্যানসার মুক্ত হন পীর হাবিবুর রহমান।