সুনামগঞ্জে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়ে উচ্ছ্বসিত ৭২ তরুণ-তরুণী

প্রকাশিত: ১২:৫০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪ | আপডেট: ১২:৫০:পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২৪

সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জে ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল(টিআরসি) পদে ৭২ তরুণ-তরুণী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ডিসেম্বর) বিকেল পৌণে ৪ টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্স এ প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৭২ জনের চুড়ান্ত মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান ও ব্রিফিং অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান, পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন।

এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম খানসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিং-এ জানানো হয়, এবার পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল(টিআরসি) পদে ২ হাজার ১০ জন আবেদন করে এবং ২ হাজার ৪৪১ জন শরীরিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৫৭৪ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২০৩ জন।

চুড়ান্ত পরীক্ষায় ৭২ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে ৬ জন নারী। অপেক্ষমান ১৩ জন রয়েছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।

পুলিশ সুপার অরো জানান, শতভাগ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।

ব্রিফিং শেষে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ পাওয়াদের ফুল দিয়ে বরণ করেন, উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদকর্মীরা।

নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে সাইফুল্লাহ মিয়া তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, তার গ্রামের বাড়ি জেলার দুর্গম শাল্লা উপজেলায়। তার বাবা একজন এবতেদায়ী শিক্ষক। তিনি পরিবারের বড় ছেলে। তিনি বলেন, পুলিশে চাকরিতে আবেদন করতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা। তিনি আবেদনের আগে জেনেছেন পুলিশে চাকরি করতে টাকা লাগে না হয় বড় পদস্থ কারো ফোন লাগে। কিন্তু তার কোন টাকাও লাগেনি এবং কোন বড়কর্তার ফোনও লাগেনি। একইভাবে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার শর্মীলা আক্তার তার অনুভূতি বর্ণণায় বলেন, তার বাবা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। পুলিশে চাকরির আবেদনের সময় লোকজন বলত পুলিশের চাকরি পেতে হলে টাকা লাগে। তুমি টাকা কোথায় পাবে। তোমার বাবার তো টাকা নেই। পুলিশে চাকুরিতে ধাপে ধাপে পরীক্ষা শেষে তিনি কোন টাকা ছাড়াই প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

একইভাবে অনুভূতি প্রকাশ করেন, প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শামীম আহমদ সামী। তিনি বলেন, খুব ুসন্দরভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে ধাপে ধাপে পরীক্ষাগুলো উত্তীর্ণ হয়ে বাবা ও মায়ে স্বপ্ন পুরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।