আওয়ামী লীগ গুম, খুন, হত্যা ও লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেছিলো : কুলাউড়ায় মাহিদুর
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মাহিদুর রহমান বলেছেন, ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পক্ষে বিএনপি আছে।
দীর্ঘ ১৫ বছর পূর্বে ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের সেই বীজ প্রথমে রোপণ করেছিলো বিএনপি। ছাত্রজনতার আন্দোলনে মুখে বাংলাদেশের অবৈধ দখলদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশের জনগণের মাঝে।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মাহিদুর বলেন, এদেশে আওয়ামী লীগ গুম, খুন, হত্যা ও লুটপাটের রাজনীতি শুরু করেছিলো। তারা জনগণের তাড়া খেয়ে পালিয়েছে। বর্তমানে বিএনপির কোনো বিকল্প নেই। বিএনপিই একমাত্র দল- যেটি স্বাধীনতা ও মুুক্তিযোদ্ধার দল। বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় ছিলো তখন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করেছিলো।
মাহিদুর আরও বলেন, প্রবাসের মাটিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখায় তিনি সরকারের রোষানলে পড়েছিলেন। হাসিনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিমানবন্দর থেকে অনেককেই তুলে নিয়ে যায়। যে কারণে প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে মা-বাবার মৃত্যু হলে তাদের লাশ দেখতেও তিনি দেশে আসতে পারেননি। ফ্যাসিবাদি শাসনের অবসান হওয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্য থেকে তিনি সম্প্রতি দেশে এসেছেন।
কুলাউড়া উপজেলা পরিষদস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জামান মতিন।
সাংবাদিক নাজমুল বারী সোহেল ও পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আতিকুল ইসলাম আতিকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ড. মোদাব্বির হোসেন, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকতুল ইসলাম শকু ও জয়নাল আবেদীন বাচ্চু, নিউইয়র্ক বাফেলো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক মোক্তাদির হোসেন মিছবাহ, কুলাউড়া বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এম এ মজিদ, রেদোয়ান খান ও কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী ও বদরুজ্জামান সজল।
এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মইনুল হক বকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুফিয়ান আহমদ ও দেলোয়ার হোসেন, জেলা মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুফিয়া রহমান ইতি, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ, সাবেক কাউন্সিলর কায়ছার আরিফ, সাংবাদিক মো. মোক্তাদির হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা তোফায়েল আহমদ ডালিম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মুহিত বাবলু, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মুসা আহমদ সুয়েট, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সুলতান আহমদ টিপু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তানজীল হাসান খাঁন, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ রানা, সদস্য সচিব সাইফুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মহি উদ্দিন রিয়াদ, কুলাউড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক মৌসুম সরকার, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেখ বদরুল হোসেন রানা প্রমুখ।