
সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম বলেছেন, কৃষকদের কথা ভেবে গত বছরের তুলনায় এবার কেজিতে ৪ টাকা বেশি দিয়ে ধান কিনছে সরকার।
তিনি বলেন, কৃষকের শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য দিতে না পারলে বা তাদের শ্রমের মর্যাদা দিতে না পারলে কৃষি কাজের কৃষকরা আগ্রহী হবে ন। তাই বাজারে কিছু মূল্য বাড়তে পারে। সেটা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের শন্তিগঞ্জ উপজেলার উজানীগাঁও খাদ্য গোদামে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে বোরো ধান সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগের খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ, অটোমিল মালিক সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, কৃষকদের মধ্যে বরন চক্রবর্তী, প্রবোধ মোহন দাস প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা আরও বলেন, কৃষকের শ্রমে-ঘামে উৎপাদিত ফসলের উপযুক্ত মূল্য দিতে না পারলে বা তাদের শ্রমের মর্যাদা দিতে না পারলে কৃষি কাজের কৃষকরা আগ্রহী হবে ন। তাই বাজারে কিছু মূল্য বাড়তে পারে। সেটা আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে।
সুনামগঞ্জে বোরো ধানের ভাল ফলনের জন্য তিনি কৃষক, কৃষি কর্মকর্তাসহ সবাইকে অভিনন্দন জানানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ধান শোকিয়ে আনবেন যাতে গোদামে রাখলে নষ্ট না হয়। গোদামে থেকে ধান নষ্ট হলে এটা জাতির ক্ষতি, জনগণের ক্ষতি। সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌড়াত্ত¡ বেড়ে যেতে পারে এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমন সংগ্রহের সময় মধ্যস্বত্তভোগীরা কোন সুযোগ পায়নি। বোরো সংগ্রহেও পাবেনা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, সারা দেশে সরকারের ধান-চাল ধারণের ক্ষমতা ২২ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু খাদ্য ঘাটতি মেটাতে সরকার প্রায় ৪ লাখ মেট্রিকটন মজুদ রাখে।
চাল সংগ্রহে তিনি বলেন, আতব বা সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করা হবে। এমন কোন প্রতিবন্ধকতা নেই চাল চালই। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপদেষ্টা বলেন, কোন জেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হলে যে জেলা ও উপজেলা থেকে বাড়তি ধান সংগ্রহ করা যাবে সেই জেলা বা উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হবে। ভূমির খাজনা দিতে ভূমি মালিকদের মোবাইল নম্বর কেউ বিদেশে থেকে স্বজনদের মাধ্যমে বা অন্য লোকদের মোবাইল নম্বর বা নিজের কোন মোবাইল নম্বর দিয়ে খাজনা দিতে আইডি খুলেছেন, কোন কারণে ওই মোবাইল নম্বর নষ্ট বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে সহজে যাতে ভূমির খাজনা দিতে পারেন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। পরে দেখার হাওরে কম্বাইন্ডহারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা প্রত্যক্ষ করেন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।