রাজনগর-কমলগঞ্জ (একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলহাজ্ব তোয়াবুর রহিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত :
জাহাঙ্গীর মিয়াঃ
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের (সিলেট ১৪ মৌলভীবাজার-রাজনগর-কমলগঞ্জ একাংশ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,বাংলাদেশ সংবিধানে স্বাক্ষরদানকারী,বিশিস্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিস্ট সহচর,বর্নাট্য জীবনের অধিকারী,আলহাজ্ব তোয়াবুর রহিমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরন সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়েছে গত ৪ জানুয়ারী বালিসহস্র হোয়াটসঅ্যাপ গুরুপের উদ্দ্যোগে আয়োজিত স্মরন সভা ও দোয়া মাহফিলে ৮নং মনসুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাদিকুর রহমান সাদিকের সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও কাজী আপ্তাব রুহুলের যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার দি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্টির চেয়ারম্যান,জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোফাজ্জল হোসেন মহিলা ডিগ্রি কলেজের পিন্সিপাল মো ইকবাল,অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্বের সংগঠক মবশ্বির আহমদ।
হাজী ছালামত স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, মরহুম তোয়াবুর রহিমের পুত্র আকন্দ জিল্লুর রহিম কিসলু,যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুর রব,মৌলভীবাজার জেলা জন কল্যাণ কাউন্সিল বার্মিংহামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও টিভি ওয়ানের প্রতিনিধি বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ সভায় বক্তারা বলেন সভায় প্রয়াত আলহাজ্ব তোয়াবুর রহিমের জীবদ্দশার নানা কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তারা বলেন দেশ ও জাতির প্রতি মরহুম তোয়াবুর রহিমের ছিলো অগাধ মমত্ববোধ।দেশ মাতৃকার কল্যাণে তিনি আজীবন নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন,তার এই মহা প্রয়ানে কমিউনিটিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয় উলেখ্য মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বালিসহস্র গ্রামে আলহাজ্ব তোয়াবুর রহিমের জন্ম।তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে রাজনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মনসুরনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন l পরবর্তীতে তিনি পূর্ব প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ও তৎকালীন গণ পরিষদের সদস্য এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিশিস্ট এই রাজনৈতিক নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিস্টজন ছিলেন।অবসর জীবনে তিনি নিজ এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত স্কুল পরিচালনার পাশাপাশি বিভিন্ন জনহিতকর কাজের সাথে জড়িত ছিলেন।তিনি নিজ এলাকার রাস্তা ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে অনবদ্ধ অবদান রেখেছেন।তিনি তার বাবার নামে হাজী সালামত স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়,প্রাইমারী স্কুল সহ স্থানীয় সালামতগঞ্জ বাজার যা পুরো জেলায় (এমপির বাজার)নামে সুপরিচিত সেই বাজারের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা।বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর থেকে তিনি আর রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন নি।এরপর তিনি পশ্চিম লন্ডনের ইলিং এ স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন,নিভৃতচারী জীবন বেঁচে নেন। ১৯৯৫ সালে আবার দেশে পাড়ি জমান এবং ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামীলীগের পক্ষে তিনি আবার সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন l তিনি এলাকার শিক্ষাবিস্তারে নিরবিচ্ছিন্নভাবে আমৃত্যু অবদান রেখে গেছেন।