সম্পাদকীয় : গত ৩০শে জানুয়ারী লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন এবং নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিলেতের বাংলা গনমাধ্যমকর্মী ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট প্রায় সকলেই আবারো একত্রিত হয়েছিলেন পূর্ব লন্ডনের উয়েষ্টহামের ই¤েপ্রশন হলে। করোনা ভাইরাস জনিত লকডাউনের কারণে এবারের সম্মেলনটি প্রায় এক বছর বিলম্বে অনুষ্ঠিত হলেও এ নিয়ে কারো মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি ছিলোনা। এই নির্বাচন ও সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সমবেত সকলেই একে অনেকের সাথে মিলিত হোন র্দীর্ঘদিন পর; চলে কুশল বিনিময় আর লম্বা আড্ডাও। বিলেতের বাংলা গণমাধ্যমকর্মীদের এ সম্মেলন বরাবরের মতোই ছিল প্রাণবন্ত।
এতে পুরো যুক্তরাজ্য থেকে কমিউনিটির শীর্ষজনেরাও যোগ দেন। আর অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তাঁর বক্তব্যে স্বাধীন গণমাধ্যমকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ উল্লেখ করে যুক্তরাজ্যের বাংলা গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকার যে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তা সত্যিই সকলকে অনুপ্রাণিত করেছে। অনুষ্টানে দেশ নিয়ে স্বনামধন্য কন্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবীর দেশাত্ববোধক গানের আবহে পুরো পরিবেশটাকেই বাঙালীয়ানায় মাতিয়ে তোলেছিলো যা বেশ প্রশংসার দাবীদার। সুন্দর ও প্রাণবন্ত একটি আয়োজনের জন্য লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও নির্বাচনের আয়োজকদের সাধুবাদ। বাংলা কাগজ আশা করে বিলেতের বাংলা গনমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ রক্ষা ও সংরক্ষণে এ সংগঠনটি সদা সক্রিয় থাকবে এবং নতুন নেতৃত্বে আসারা সঠিক ও যোগ্যতর হিসেবে সংগঠনকে আরো গতিশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। বাংলা কাগজের পক্ষ থেকে নবনির্বাচিতদের অবিরত শুভেচ্ছা ও অভিবাদন।
বলা হয়ে থাকে যে, বহির্বিশ্বে বাংলা গণমাধ্যমকর্মীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন হচ্ছে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব। আর বিলেতে বাংলাদেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি তুলে ধরতে এখানকার গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা সর্বদাই ছিলো প্রশংসনীয়। ১৯৭১ সালের ২৮শে মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধকালে বার্মিংহামে পশ্চিমা বিশ্বের বুকে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। আর এ দিনটিকে উদযাপনের বিষয়টি ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে বাঙালী কমিউনিটিতে তুলে ধরে বার্মিংহামের প্রথম নিয়মিত বাংলা সংবাদপত্র বাংলা কাগজ। সেই থেকে বার্মিংহামে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮শে মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে নানাভাবে দিনটি উদযাপন করা হয়। এরকম নানা ইতিহাস ঐতিহ্য সাফল্য সম্ভাবনাকে কমিউনিটি তথা বিশ^ বাঙালীদের কাছে বাংলা কাগজের মতো আরো অনেক গণমাধ্যম তুলে ধরছে নানাভাবেই। যা এখানকার সকল গণমাধ্যমকর্মীদের সাফল্যের ধারাবাহিকতারই বহিঃপ্রকাশ। বাংলা গণমাধ্যমকর্মীরা আরো এগিয়ে যাবে তাদের কর্মের পরিধিকে আরো ব্যাপ্ত করবে নানাভাবে – এটাই প্রত্যাশা।