আন্তর্জাতিক ডেস্ক- রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের রুশ অধ্যুষিত দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনে ‘শান্তি বজায় রাখতে’ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া দেশটি ইতোমধ্যে দুই লাখ সেনা দিয়ে কার্যত ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে। বেলারুশেও রেখেছে সেনা মোতায়েন।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন শান্তি চায় এবং সমস্যার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষ্পত্তি সমর্থন করে।’
তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনীয়রা ভীত নয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রয়টার্সের এক প্রত্যক্ষদর্শী এরই মধ্যে রাশিয়ার ট্যাংকসহ সামরিক সরঞ্জামাদি দোনেৎস্ক-এর পথে যেতে দেখেছেন। এর আগে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে তথাকথিত শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের জন্য রুশ সেনাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। পশ্চিমা শক্তিগুলো আশঙ্কা করছে, এটি রাশিয়ার জন্য ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের পথ প্রশস্ত করবে।
এদিকে, রাশিয়ার এই মিশনের ব্যাপ্তি এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সেনারা যদি সীমান্ত অতিক্রম করে, তবে এটি হবে প্রথমবারের মতো রুশ সেনাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে প্রবেশ করা।
এর আগে মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বর্ণনা করেন পুতিন। পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল উল্লেখ করে পুতিন জানান, রাশিয়ার জনগণ এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
এর আগে সোমবার নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন পুতিন। লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমানাঘেষা দুটি অঞ্চল। ২০১৪ সাল থেকেই এ অঞ্চলের রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইছে।