অবৈধভাবে তথ্যপাচার ও ঘুস লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান মিজানের তিন বছর ও দুদকের তৎকালীন পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের আট বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে মিজানুর রহমানকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এবং এনামুল বাছিরকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টার পর তাদের আদালতের কাঠগড়ায় আনা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে বিচারক আজ রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন। বাছিরের পক্ষে তার আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান ওই দিন আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। মিজানুরের পক্ষে যুক্তি দেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একই বছরের ১৮ মার্চ আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ আসায় ২০১৯ সালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে মিজানুর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর চার মাস পর তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান চালায় দুদক। সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান কমিশনের তৎকালীন পরিচালক এনামুল বাছির।
অনুসন্ধান চলাকালে ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর পক্ষে তাদের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর নানা আলোচনা শুরু হয়। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর পরবর্তী সময়ে তাদের দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২০ বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ডিআইজি মিজানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।