কুলাউড়ার রবিরবাজারে ‍‌‌‍”মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ” নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

প্রকাশিত: ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২ | আপডেট: ১১:৩৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২

 

স্টাফ রিপোটারঃ

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রবিরবাজারে জেলা পরিষদের জায়গায় দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবির বাজারে পদ্মদিঘীর পাড়ে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা পরিষদের জায়গায় এলজিইডির অর্থায়নে ‘ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্ধোধন করা হয়।মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি  বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর রবিরবাজারে জেলা পরিষদের জায়গায় দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শহীদ মিনারের উন্নয়নসহ বাজারের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করে স্মৃতিসৌধ ও শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার আহবান জানান।

 

 

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সদস্য সচিব শেখ সাজন আহমদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সাবেক সাংসদ নওয়াব আলী আব্বাছ খান, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ, জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আজিম উদ্দিন সরদার, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী মাওলানা ফজলুল হক খান সাহেদ, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুশীল চন্দ্র দে, রাজনীতিবিদ নওয়াবজাদা আলী ওয়াজেদ খান বাবু, কুলাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি এম শাকিল রশীদ চৌধুরী, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিমিউর রহমান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান হাসনাইন, পৃথিমপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী সাজ্জাদ খান, ইউপি সদস্য মো. আব্দুল মতিন প্রমুখ।

 

আরও পড়ুন: রবিরবাজার “উপজেলা” সময়ের দাবী

ইউএনও ফরহাদ চৌধুরী জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভাগ (এলজিইডি) এর সিএইচএসএমএমপি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের মেসার্স জেরিন এন্টারপ্রাইজ রবিরবাজার এলাকায় জেলা পরিষদের জায়গায় পদ্মদিঘীরপাড় স্মৃতিসৌধ নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পেয়েছে।

 

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক সেনারা পৃথিমপাশা আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয়ের চৌমুহনী পয়েন্টে অবস্থিত বধ্যভূমিতে যুদ্ধকালীন সময়ে পৃথিমপাশার অক্ষয় দেব ও কৃতিময় দেব নামে দুজন মুক্তিযোদ্ধাসহ আরও নাম না জানা অনেককে হত্যা করে গণকবর দেয়া হয়েছে। এটি সংরক্ষণের জন্য বার বার আন্দোলন, সংগ্রাম করলেও তা সংরক্ষিত না থাকায় জায়গাটি ছিল অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে।

 

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে পম্পি রাণী দেব নামে এক তরুণী আত্মহত্যা

 

অবশেষে জমিসহ অন্যান্য জটিলতা কাটিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর প্রচেষ্ঠায় প্রকল্পটি সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে আলোর মুখ দেখবে।