ভারতে করোনা সংক্রমনের তৃতীয় ঢেউ চলছে। ইতোমধ্যে সেখানে প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ভাইরাসটির নতুন ধরন ওমিক্রন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দেশটিতে নতুন করে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা আগের দিনের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি। আক্রান্ত এসব মানুষের মধ্যে ৫ হাজার ৪৮৮ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার দিকে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রকাশিত করোনা সংক্রান্ত নিয়মিত প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়েছে।
এদিকে ওমিক্রনের কারণে দেশব্যাপী করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সবকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪১৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশের বেশি। এ সময় মারা গেছেন ৩৮০ জন। ফলে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৮৫ হাজার ৩৫ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮২৫ জন।
এদিকে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভরতে। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্রে। সেখানে ১ হাজার ৩৬৭ জনের শরীরে ওমিক্রন পাওয়া গেছে। রাজস্থানে ৭৯২, রাজধানী দিল্লিতে ৫৪৯, কেরালায় ৪৮৬, কর্নাটকে ৪৭৯, পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ এবং উত্তর প্রদেশে ২৭৫ জনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, তারা আশঙ্কা করছে চলতি মাসের (জানুয়ারি) শেষভাগে অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে রাজ্যটির হাসপাতালগুলোতে করোনা আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় জানায়, ইতোমধ্যে মহারাষ্ট্রের হাসপাতলগুলোতে অক্সিজেনের চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।