সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি করা পণ্যে শুল্ক না নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। তিনি বলেন, আমদানি করা পণ্যে শুধু শুল্ক না কমিয়েও হবে না। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।’কেউ পারে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি একটি উদ্বেগের বিষয়। টিসিবির উদ্যোগে পণ্যবিক্রয় চলছে।
শনিবার(২৬ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাছন রাজা মিলনায়তনে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যবসা করতে গিয়ে কোনো অসুবিধার শিকার না হন সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়কগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। চাঁদাবাজি রুখতে পারলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
মন্ত্রী মজুতদারদের উদ্দেশে বলেন, কেউ যদি অবৈধ মজুত করেন তাহলে তাদের মাল গুদামে পচবে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন না।
মন্ত্রী বলেন, এখনই বাংলাদেশের ওপর ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কোনো প্রভাব দেখছিনা। তিনি বলেন, রাশিয়ার আমদের বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটির সঙ্গে কিছু ব্যবসা আছে, কিন্তু খুব বেশি না। তাদের সঙ্গে আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসা হলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তারা ঋণ দিয়েছে। করোনাকালেও এটি বন্ধ হয়নি, এখনও হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি যেকোনো জায়গায় যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা যুদ্ধ চাই না। অর্থনীতিতে এই সামরিক অভিযানের কী প্রভাব পড়বে, তা জানতে আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের যে বাজার আছে তাতে কাপড়, মাছ, মাংস, খাবার যাবেই। এগুলো আটকানোর কথা না। এই যুদ্ধের তাৎক্ষণিক কোনো প্রভাব দেখছি না।’