সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চাঞ্চল্যকর শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্না নামে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা মামলায় তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আসামিরা হলেন, জগন্নাথপুর পৌর শহরের অভি মেডিকেল হলের মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ, মুদি দোকানি অনজিৎ গোপ ও অরূপ ফার্মেসির মালিক অসিত গোপ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আমল গ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জাহান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জিতেশ গোপ কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সইলা গ্রামের যাদব গোপের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পৌর শহরে বাসা ভাড়া করে বসবাস করে আসছেন। সুনামগঞ্জের কোর্ট ইনসপেক্টর বদরুল আলম তালুকদার বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আতালত সূত্র জানায়, রোববার ৮ দিনের রিমান্ড শেষে আসমি জিতেশ চন্দ্র গোপ, অনজিৎ গোপ ও অসিত গোপকে আমলগ্রহনকারি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (জগন্নাথপুর জোন)-এর হাজির করে ৭দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রিমান্ড শুনানী শেষে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের বিচারক ইসরাত জাহান তিন আসামির প্রত্যেককে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্না ঔষধ কেনার জন্য অভি মেডিকেল হলে যান। ওই সময় অভি মেডিকেল হলের মালিক প্রবাসীর স্ত্রীকে একটি ট্যাবলেট খাইয়ে জ্যোৎস্নাকে বসতে বলেন। পরে জ্যোৎস্না তন্দ্রাছন্ন হয়ে পড়েন।
জ্যোৎস্নার বাসায় ফিরতে দেরী হওয়ায় নিহতের ছোট ভাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ফার্মেসিতে গিয়ে দেখে ফার্মেসি বন্ধ। পরে ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপকে মোবাইলে কল দিলে তিনি জানান, তার বোন ওষুধ না পেয়ে চলে গেছেন।
পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি পুলিশ নিয়ে অভি মেডিকেল নামের ঔষধের দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রবাসীর স্ত্রী জ্যোৎস্নার অন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেন। ওই দিনই জ্যোৎস্নার ভাই হলাল মিয়া বাদী হয়ে জিতেশ চন্দ্র গোপকে প্রধান আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) দুপুরে সিআইডির একটি টিম ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। প্রধান আসামি (পলাতক) জিতেশ চন্দ্র গোপকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একইদিন সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপর দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সিআইডি সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রহিমের আদালতে তিন আসমিকে হাজির করলে বিচারক আসামিদের ৮দিনের রিমান্ডমঞ্জুর করেন।