সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জের শাসুন্তিগঞ্জ উপজেলায় ‘পুলিশ নির্যাতনে’ উজির মিয়া নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগে আদালতে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিহতের ভাই ডালিম মিয়া বাদী হয়ে জেলা ও দায়রা জজ ওয়াহিদুজ্জামান শিকদারের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসমিরা হচ্ছেন, শন্তিগঞ্জ থানার সাবেক (বরখাস্তকৃত) এসআই দেবাশীষ সূত্রধর এবং ওই থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বাদী পক্ষের আইনজীবী রবিউল লেইছ রোকেশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত আগামী বুধবার আদেশের দিন ধার্য্য করেছেন।
জানা যায়, চুরির মামলার সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উজির মিয়াকে বাড়ি থেকে একটি চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে শান্তিগঞ্জ থানার তৎকালিন এসআই দেবাশীষ। এসময় এসআই দেবাশীষ সূত্রধরসহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি গরু চুরির মামলার সন্দেহ জনক আসামি হিসেবে উজির মিয়াকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানার তৎকালিন এসআই দেবাশীষ।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) আদালত থেকে জামিন পেয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন উজির মিয়া। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি আরও অসুস্থতা হয়ে পড়লে তাকে স্থানীয় কৈতক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওইদিন দুপুরে পুলিশি নির্যাতনে উজির মিয়ার মৃত্যুর হয়েছে দাবি করে উজির মিয়ার মরদেহ নিয়ে স্বজন ও এলাকাবাসী সুনামগঞ্জ-সিলেট পাগলা বাজার এলাকায় অবরোধ করে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবু সাঈদ ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহমদসহ তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আশ্বাস দিলে ৩ ঘন্টাপর অবরোধ তুলেন তারা।
পরে জেলা প্রশাসন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুল হালিমকে প্রধান করে তিন সদস্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই দিনই শান্তিগঞ্জ থানা থেকে এসআই দেবাশিষকে জেলার দিরাই থানায় বদলী করা হয়।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম’র নির্দেশে এসআই দেবাশিষকে ক্লোজড করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে ন্যাস্ত করা হয়।