সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজের নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ৬০ ভাগ কাজও সম্পন্ন হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক দল।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ লিখিত বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক ও জেলা কৃষক দলের আহŸায়ক আনিসুল হক। এসময় সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নুরুল, দফতর সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাকের, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আব্দুল অদুদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হাজী আকুল আলী, যুগ্ম আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোনাজ্জির হোসেন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান রাজু, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে জেলার ১২টি উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বোরো ফসলের সুরক্ষার জন্য ৭২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে ১৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ ক্লোজারসহ ৫৩২ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ জন্য সরকার ১১৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রæয়ারির মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। মৌসুম শেষ পর্যায়ে এসেও মাত্র ৫৫ থেকে ৬০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এছাড়া বেশিরভাগ বাঁধে ঘাস লাগানো হয়নি, করা হয়নি দুর্মুজ। ডিজাইন অনুযায়ী বাঁধের ¯েøাপ দেওয়া হয়নি। গোড়া থেকে মাটি কেটে অনেক বাঁধ নির্মাণ করায় সেগুলো দুর্বল হয়েছে। এর সবই কৃষকদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন হয়, সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী হাওরে জমি রয়েছে এমন কৃষকদের দ্বারা গঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) মাধ্যমে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করার কথা। নীতিমালা সংশোধনের পর থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর ব্যত্যয় ঘটে চলছে। প্রকৃত কৃষকদের পরিবর্তে সংসদ সদস্যগণ ও প্রভাবশালীদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের পছন্দের দলীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা পিআইসি গঠন করা হচ্ছে। ফলে অনিয়ম, দুর্নীতি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিগত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কাবিটা নীতিমালার দুর্বলতা, বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে কৃষকসহ সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পুর্নমূল্যায়ন চায় কৃষক দল।