জালালাবাদ এসোসিয়েশনকে সু-সংগঠিত করতে ইতালিতে ৯ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয়কারী কমিটি গঠিত
মিনহাজ হোসেন, ইতালি থেকেঃ
রাজধানী রোমে রসই রেস্টুরেন্ট হলরুমে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির সাবেক কার্যকরী পরিষদের সদস্যরা কমিটি কে পুনর্গঠন করার লক্ষে একটি সাধারণ সভার আয়োজন করে।
জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির সাবেক সহ সভাপতি আফজাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ আহমেদ আরেফিন ও প্রচার সম্পাদক মিনহাজ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় সংগঠনের সদস্যরা কেন এই সাধারণ সভার আয়োজন করে তার ব্যাখ্যা করেন এবং সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন নিম্নলিখিত অসাংগঠনিক গঠন তন্ত্র বিরোধী ধারাবাহিক কার্যক্রম গুলো।
প্রথমতঃ এই সংগঠনের কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার পরে কমিটি বিলুপ্ত করা হয় যা কার্যকরী পরিষদের সাথে কোন আলোচনা বা অবগত করা ছাড়া।
দ্বিতীয়তঃ কেন্দ্রীয় জালালাবাদ এসোসিয়েশন ঢাকা থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি সম্বনয় কমিটি প্রদান করে। যেখানে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইউকে সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব কে প্রধান সমন্বয়ক, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অলি উদ্দিন শামীমকে আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব হিসেবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সদস্য সচিব সাব্বির আহমেদ সম্মনয়কারী কমিটির কাউকে না জানিয়ে নিজের মন মতোন অন্যায় ভাবে আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। যা সম্পূর্ণ অসাংগঠনিক গঠনতন্ত্র বিরোধী।
তৃতীয়তঃ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময় জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির ব্যানারে সভা সমিতির আয়োজন করা হয়েছে অথচ সাবেক কমিটির অধিকাংশ সদস্যদের অবহিত করা হতো না।
চতুর্থতঃ আরো একটি আশ্চর্য ও বোধের মধ্যে পড়েনা তা হলো জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালি নামে দুটি প্যাড ব্যবহার করা হয়। একটি ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ৪০৮০, যা বিগত দিনের সকল কার্যক্রমে এই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার হয়েছে। অথচ বর্তমানে আরেকটি নাম্বার যা ২০১৯ এ প্রতিষ্ঠিত বলে ব্যবহার করা হচ্ছে। সংগঠন একটি অথচ নাম্বার দুইটি।
পঞ্চমতঃ দিনের পর দিন কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ঢেকে রাখা, অচ্ছস্বতা, মিথ্যাচার, সেই সঙে নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনতন্ত্র কে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের কারণ আমাদের জানাতে হবে।
বক্তব্যের শেষে জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালিকে ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত এবং সর্বজন গৃহীত ভাবে যেন পূর্বের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফিরে পেতে পারে এই লক্ষেই সকলের সম্মতিক্রমে
একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে এই সংগঠনের সাবেক সহ সভাপতি আফজাল আহমেদ প্রধান সমন্বয়ক করে সহ সমন্বয়ক হিসাবে মন্তে ভেরদে গ্রেটার সিলেট এস্যোসিয়েশনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসাইন চকদার, জালালাবাদ কল্যাণ সংঘের উপদেষ্টা মোঃ রানা খান, জালালাবাদ যুব সংঘের সাবেক সভাপতি লুৎফর রহমান, জালালাবাদ এসোসিয়েশন ইতালির সাবেক সম্মানিত প্রথম সদস্য আরমান উদ্দিন স্বপন, সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল হোসেন মুন্না, সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক বিজয় কর, সাবেক সদস্য আমিনুল ইসলাম রাসেল সহ মোট নয় জনের নাম প্রস্তাব আসে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নাপোলীর বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব রায়হান আহমেদ, মন্তে ভেরদে গ্রেটার সিলেট এস্যোসিয়েশনের উপদেষ্টা এ কে সাখের খান, রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সিলেট সিটি ক্লাব কোষাধ্যক্ষ রায়হান আহমেদ।
এছাড়াও জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাবেক কার্যকরী পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কোষাধক্ষ্য মোঃ শাহিন , আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু আহমেদ, আরিফ জামাপ সহ আরো অনেকই।
এই সমন্বয়কারী কমিটি আগামী ১৪ কার্য দিবসের মধ্যে ই আলোচনা সাপেক্ষে দুই পক্ষের আনিত অভিযোগ অনুযোগ গুলো শুনবেন এবং আগামী দিনে দিক নির্দেশনা মূলক করণীয় কার্যক্রম গুলো কি হতে পারে সে বিষয়ে ও বিশেষ ভূমিকা রাখবেন।