বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একজন কর্মীর পেছনে ছুটছেন সংবাদকর্মীরা। এই কর্মীর হাতে সাকিবের জার্সি-ট্রাউজার। তার গাড়িতে রাখার জন্য নিয়ে এসেছেন বিসিবি কার্যালয় থেকে। একটু আগেই নাজমুল হাসান-সাকিব আল হাসানের ঘোষণার সঙ্গে এই দৃশ্যটির নিদারুণ মিল। সাকিব শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাতেই যাবেন না; সঙ্গে নিয়ে যাবেন তার নিজের জার্সি-ট্রাউজারও।
আফগানিস্তান সিরিজের পরদিন রোববার (৬ মার্চ) থেকে শুরু হয় এই নাটক। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে সাকিব অনাগ্রহ প্রকাশ করেন ক্রিকেট খেলার প্রতি। জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত না। এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর চারদিকে শুরু হয় হট্টগোল। মেনে নিতে পারেননি খোদ বিসিবি সভাপতিও। সবকিছু মেনে নিয়ে তারপরও সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেয় বোর্ড।
কিন্তু আলোচনা-সমালোচনা থামেনি। দুবাই থেকে বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ফেরার পর থেকে পাল্টাতে থাকে দৃশ্যপট। সাকিব বিমানবন্দরে নেমেছেন রাত সোয়া ৯টায়, তার দুই ঘণ্টা আগে বিসিবি সাকিবকে তিন ফরম্যাটে রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করে। এতেই বোঝা যায় দুই পক্ষই ওড়াতে চাচ্ছেন শান্তির পতাকা; সাদা পতাকা। একদিন না যেতেই তাই হলো।