বিএনপি’র নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই- মৌলভীবাজারে আ’লীগের প্রতিনিধি সভায়- হানিফ
স্টাফ রিপোটারঃ-
আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নরুল ইসলাম নাহিদ এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশে চলমান নানা উন্নয়ন ফিরিস্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে। সমৃদ্ধ হচ্ছে। এধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আর এর অন্যতম শক্তি হলেন তৃণমূলের কর্মীরা। দলীয় ভেদাভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মিশতে হবে। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে আরও শক্তিশালী করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখন থেকে কাজ করতে হবে।
সোমবার ১৪ মার্চ বিকেলে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রতিনিধি সভায় বক্তব্যে উল্লেখিত কথা বলেন।
মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের এমপি নেছার আহমদের সভাপতিত্বে আর সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মিছবাহুর রহমান এর পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, পরিবেশ ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন, সৈয়দা জোহুরা আলাউদ্দিন এমপি। বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি সৈয়দা সায়েরা মহসীন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন, মশহুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বিএনপি মহা সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর সমালোচনা করে বলেন, তারা নির্বাচন নিয়ে ভাবছেন না, কারণ তারা জানে নির্বাচন করার সক্ষমতা তাদের নেই। নির্বাচনে গেলেও তাদের ২০১৮ সালের মতো লজ্জাজনক পরাজয় গ্রহন করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে বিএনপি ইস্যু খুঁজে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
হানিফ আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, কমিশন নিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নেই। যে দলের শীর্ষ দুই নেতা দন্ড প্রাপ্ত। একজন বেগম খালেদা জিয়া ও অপরজন তারেক জিয়া। কারণ শীর্ষ ওই নেতারা দন্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক থাকায় তাদের নির্বাচন নিয়ে ভাববার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের যা অর্জন তার অবদান আওয়ামীলীগের। পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্র নায়ককে এভাবে নৃশংসভাবে স্বপরিবারে হত্যা করার নজির আর নেই। যে ভাবে জাতির জনকের পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্থানপন্থীরা তাঁকে মেনে নিতে পারেনী তাই এমন নির্মম হত্যা কান্ড হয়। ওই হত্যা কান্ড সংগঠিত করেছিলেন মেজর জিয়া। যা আজকে প্রমাণিত সত্য। জিয়া জয় বাংলা স্লোগানের পরিবর্তে পাকিস্থানী আদলে জিন্দাবাদ চালু করেছেন। রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছেন। জামাত বিএনপি সহোদর। তারা এক মায়ের পেটের ভাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীর কবির নানাক বলেন মার্চ মাস আমাদের জন্য পবিত্র মাস। একদিকে মার্চ মাস স্বাধীনতার মাস। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের বক্তব্য। অন্যদিকে এই মাসই জাতির জনকের জন্ম মাস। এই মাসেই এই প্রতিনিধি সভায় আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে ভেদাভেদ ভুলে মাঠে কাজে নামতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলা নানা উন্নয়ন জনগণকে জানাতে হবে। আমরা চুপ করে বসে থাকলে স্বাধীনতা বিরুধী অপশক্তি সুযোগ পায়। তারা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠে। মসজিদে যেতে হবে। নামাজ পড়তে হবে। ওখানেও উন্নয়ন ও শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের কথা তোলে ধরতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আহমদ হোসেন বলেন, যে গাভী দুধ দেয় তারে ঘাস খাওয়াবো, যে দুধ দেয় না তারে হাটে বিক্রি করবো। না পাওয়ার বেদনা ভুলতে হবে। এখন বাড়িতে শান্তি ঘুমাতে পারছেন। প্রশাসন আপনাকে সম্মান দিচ্ছে। জামাত বিএনপি রাজাকাররা ক্ষমতায় থাকলে বাড়িতে কি ঘুমাতে পারতেন। তাই দ্বিধা দ্বন্ধ ভুলে দলের জন্য নিবেদীত হয়ে কাজ করতে হবে। আগামীতে আবারও শেখ হাসিনার সরকার আনতে হবে। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রতিনিধি সভায় দলের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের প্রতি শোক জানিয়ে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করেন। এরপর ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ দলের চলমান সাংগঠনিক কার্যক্রম, বিগত ইউনিয়ন ও পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হওয়া এবং কয়টিতে আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়েছে। যে গুলোতে দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেনী তার কারণ পর্যালোচনা করেন।