ইসির সংলাপে অনুপস্থিতিতে বোঝা যায় সুশীল সমাজও আগ্রহী না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২২ | আপডেট: ৪:২৭:অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২২

সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে অংশীজনদের মতামত নিতে চলমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপে সুশীল সমাজও আগ্রহী না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

 

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

এ সময় জিয়া পরিষদের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ফখরুল বলেন, যখন ইসি গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করে সরকার এবং রাষ্ট্রপতি যখন বিভিন্ন দল ও বুদ্ধিজীবীদের ডাকা শুরু করলেন, তখন আমরা বলেছি ইসি গঠন ব্যাপারটা জরুরি নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতায় নির্বাচনকালীন কী ধরনের সরকার থাকবে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যত ভালো ইসি হোক না কেন, তার পক্ষে একটি অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব না যদি নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ না হয়। সে জন্য আমরা আগ্রহী না।

 

 

তিনি আরও বলেন, সংলাপে এই যে অনুপস্থিতি, এ থেকেই বুঝতে পারেন সুশীল সমাজের আগ্রহ নেই। এটা সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতার কারণে। গত দু’তিনটা নির্বাচনে, একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে অভিজ্ঞতা হয়েছে যে, সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব না।

 

ফখরুল বলেন, ‘ইসি যতই সংলাপ করুক, এই সংলাপ কোন কাজে আসবে না। বিএনপির একমাত্র দাবি নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’

 

তিনি বলেন, ‘গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর খদাম বৃদ্ধির জন্য বিএনপির আন্দোলন করছে এবং ভবিষ্যতেও আন্দোলন করে যাবে। বিশেষ করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি ফেলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে।’

 

জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান তিনি।

 

উল্লেখ্য, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যপদ্ধতি ঠিক করতে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের ডাকা দ্বিতীয় দফার সংলাপে ২০ বিশিষ্ট নাগরিক সাড়া দেননি।

 

দ্বিতীয় দফার এই সংলাপে ৪০ বিশিষ্ট নাগরিককে আমন্ত্রণ করা হলেও পরে একজনকে এই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। এর ফলে ৩৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে ১৯ জন এ সংলাপে অংশ নেন।

 

মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে এ সংলাপ শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আহসান হাবিব খান সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওমরাহ পালন করতে যাওয়ায় উপস্থিত ছিলেন না নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান। এ ছাড়া ইসি সচিবসহ কমিশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।