আহমেদ সুহেল ঃ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় অর্ধ শতাব্দী পুর্তিতে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশ মাতৃকার জন্য প্রবাসে থেকেও নানাভাবে ভূমিকা রাখা ১০০জন সংগঠককে সম্মাননা ও এওয়ার্ড প্রদান করেছে ভয়েস ফর গেøাবাল বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন। লন্ডন ছাড়াও যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম ম্যানচেষ্টার কভেন্ট্রিসহ অন্যান্য শহর থেকে আসা তৎকালীন সময়ের সংগঠক তাদের পরিবার পরিজন ও কমিউনিটির নানা শীর্ষজনের উপস্থিতিতে গত ২৯ মার্চ লন্ডনের হাউস অফ কমন্সের টেরেস প্যাভিলিয়নে এই সম্মাননা ও এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। ভয়েস ফর গেøাবাল বাংলাদেশের নিবার্হী সদস্যা মিসেস শাহিদা হাসনাথের সঞ্চালনায় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া উক্ত অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ডঃ হাসনাত হোসেন এমবিই। অনুষ্টানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ এমপি আফসানা বেগম ও স্কটিশ এমএসপি ফয়সল চৌধুরী এমবিই, বৃটিশ এমপি ষ্টিফেন টিমস ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে এসে যোগ দেন গনস্বাস্থ্যের চেয়ারম্যান ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
অর্ধ শতাব্দী পরে হলেও এই সম্মাননা ও এওয়ার্ড প্রাপ্তিতে আগত সকলেই ছিলেন উচ্ছ¡সিত। বহিঃবিশে^ বাংলাদেশী জাতীয় পতাকার প্রথম উত্তোলক বার্মিংহামের মিছির আলী,বার্মিংহাম বাংলাদেশ মাল্টিপারপাস সেন্টারের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নাসির আহমেদ,কভেন্ট্রি বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারম্যান মহতোসিন আলী সিতু মিয়াসহ বিভিন্ন শহর থেকে আসা সেসময়কার সংগঠক এবং বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম এ এস এম কিবরিয়াসহ প্রয়াতঃ অনেকের পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের পুর্বপুরুষের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য সম্মাননা সনদ ও এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বার্মিংহাম থেকে সম্মাননা পাওয়া মিছির আলী ও আলহাজ¦ নাসির আহমেদ একাত্তুরের ২৮ মার্চ বার্মিংহামের ঐতিহাসীক স্মলহীথ পার্কে বহিঃবিশে^ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলনের বিষয়টিকে জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদানের দাবী জানান। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনে ১০০ জন সংগঠককে নির্বাচিত করতে প্রায় দুবছর কাজ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে ভয়েস ফর গেøাবাল বাংলাদেশের মিডিয়া ডাইরেক্টর কে এম আবু তাহের চৌধুরী বাংলা কাগজকে জানান.. দল-মত নিবির্শেষে তৎকালীন সময়ের ১০০ জন সংগঠককে এই সম্মাননা প্রদান করতে পেরে আয়োজকরা গৌরবান্বিত।