লন্ডন প্রতিনিধি ঃ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব। সংগঠনের কার্যকরী কমিটিসহ বিপুল সংখ্যক সদস্য ও কমিউনিটির নানা শীর্ষজনে উপস্থিতিতে গত ৩০ মার্চ লন্ডনের লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমিতে এ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ‘বাংলাদেশ ব্রিটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর’ শীর্ষক এ আলোচনায় লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সাঈম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশী হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম। আর প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী। আলোচনায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন মাতৃভূমিতে পা রাখার আগে, ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যে ঐতিহাসিক সফর এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের সঙ্গে তাঁর বৈঠক করার কথা উল্লেখ করে বলেন মাধ্যমে ঐসময় বঙ্গবন্ধু বৃটেনের সাথে যে নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছিলেন তা একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি লাভকে ত্বরান্বিত করেছিল। এছাড়া তিনি গত পঞ্চাশ বছরে ব্রিটিশ বাংলাদেশিরা এই দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বড় ভূমিকার কথাও স্মরণ করেন। সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে যুক্তরাজ্যের অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করেন। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্য সফররত দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক নির্বাহী সম্পাদক তোশারফ আলী। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক চৌধুরী। আলোচনার ফাকে অতিথিদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন ডঃ জাকি রেজওয়ানা আনোয়ার,উদয় শংকর দাস,সৈয়দ এনাম,শামসুল আলম লিটন,সাইদুর রহমান সোহেল প্রমূখ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল মুক্তিযুদ্ধের গনে অংশ নেন একাত্তরের রণাঙ্গনের কণ্ঠযোদ্ধা হিমাংশু গোস্বামী, ডা. রুখসানা সাফা ও গৌরী চৌধুরী। এছাড়া তৃতীয় পর্বে কবি দিলু নাসেরের সম্পাদনা ও পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।