আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে (এনএ) অনাস্থা ভোটে ইমরান খান প্রধানমন্ত্রিত্ব হারানোর পর দেশটিতে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় দেশটির পার্লামেন্টের অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের ভোটে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। জাতীয় পরিষদের সচিবালয় সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য রোববার দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। পরে বিকেল ৩টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই চলবে।
নতুন সূচি অনুযায়ী, দেশটির সংসদে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার দুপুর ২টায়।
পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে পতন হয়েছে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারেরও। এ জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হচ্ছে।
এই প্রথম দেশটির কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেন। এর আগে ১৯৮৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও ২০০৬ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শওকত আজিজের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। তবে উভয়েই সেই ভোটে জিতে ক্ষমতায় টিকে গিয়েছিলেন।
অনাস্থা ভোটের ফল ঘোষণার পর বিরোধী দলের নেতারা বিজয়ী বক্তৃতা দেন। প্রধানমন্ত্রী পদে জাতীয় পরিষদে বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) সভাপতি শাহবাজ শরিফ তার বক্তৃতায় বলেন, আমরা জাতির ক্ষত সারিয়ে তুলতে চাই। আমরা কোনো প্রতিশোধ নেব না। কোনো নিরপরাধ মানুষকে জেলে পাঠানো হবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের সম্মান একইরকম বহাল থাকবে।