ফিনল্যান্ড ও সুইডেন আগামী গ্রীষ্মে শুরুতেই পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে। যা ইতোমধ্যেই ভাবাতে শুরু করেছে রাশিয়াকে। রাশিয়া এরই মধ্যে দেশ দুটিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এমন পদক্ষেপ ইউরোপে স্থিতিশীলতা আনতে কোনো ভূমিকা রাখবে না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার (১১ এপ্রিল) সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি (ন্যাটো) এমন কোনো জোট নয় যা শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। এর আরও সম্প্রসারণ ইউরোপে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বয়ে আনবে না”।
এর আগে সংবাদ মাধ্যম দ্য টাইমসকে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড বিষয়ে কয়েকটি আলাদা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এরপরই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে।
সে সময় ন্যাটোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনাবাহিনী আগ্রাসন চালানোর পর ফিনল্যান্ড ও সুইডেন গুরুত্বের সঙ্গে জোটে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করে।
মস্কো বরাবরই স্পষ্ট করে বলে আসছে, তারা ন্যাটো জোটের সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে। ইউক্রেইনকেও ন্যাটো জোটে সামিল না হতে এর আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাশিয়া।
ইউক্রেইনে রুশ হামলার পর ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনে। সুইডিশ ক্ষমতাসীন স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি আগে ন্যাটোতে যোগদানের বিপক্ষে থাকলেও এখন তারা বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবছে।
ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন বলেছেন, ন্যাটোর সম্ভাব্য সদস্যপদ নিয়ে আগামী সপ্তাহে তাদের পার্লামেন্টে আলোচনা শুরু করা হবে। গ্রীষ্মের আগেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি