ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের কাছ থেকে মাত্র ছয় মাসের চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব পাওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে আচমকা পদত্যাগ করেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তারপর থেকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। বেশি খোঁজাখুঁজির মধ্যে গেল না বোর্ড। তিন ফরম্যাটের সবগুলোর জন্য তাদের পূর্ণকালীন প্রধান কোচ ও নির্বাচক হিসেবে তাকে চূড়ান্ত করল অস্ট্রেলিয়া।
চার বছরের চুক্তি করেছেন ম্যাকডোনাল্ড। সাবেক টেস্ট অলরাউন্ডার ২০১৯ সাল থেকে জাতীয় দলের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ও বোলিং মেন্টর। সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হন। দল ১-০ তে টেস্ট সিরিজ জেতে এবং অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের প্রশংসা কুড়ান। অস্ট্রেলিয়া ১-২ এ ওয়ানডে সিরিজ হারলেও ১-০ তে জেতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
ল্যাঙ্গার চার বছরের মেয়াদে কখনো কখনো বিশ্রাম নিলে ম্যাকডোনাল্ড অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ সালে ভারতে ওয়ানডে সিরিজ, গত বছর নিউ জিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং এই বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের হোম টি-টোয়েন্টি সিরিজে কোচ ছিলেন ম্যাকডোনাল্ড।
নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার পর তিনি বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত এই যাত্রা ছিল খুবই আনন্দদায়ক। সামনে আমাদের রোমাঞ্চকর সময়, এজন্য আমাকে এই অসাধারণ সুযোগ দেওয়ায় আমি সম্মানিত।’
রিক্রুমেন্ট ফার্মের মাধ্যমে ল্যাঙ্গারের উত্তরসূরি খুঁজতে শুরু করেছিল সিএ। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় ছিলেন সাবেক অজি অধিনায়ক রিকি পন্টিং, সাবেক ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিস ও বর্তমান অস্ট্রেলিয়া নারী দলের কোচ ম্যাথু মট। কিন্তু দলের মধ্যে ম্যাকডোনাল্ডের জনপ্রিয়তা তাকে এগিয়ে রাখল।
কোচিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডের। ভিক্টৈারিয়া ও মেলবোর্ন রেনেগেডসকে চারটি অস্ট্রেলিয়ান ঘরোয়া শিরোপাসহ ২০১৮-১৯ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ড, মার্শ কাপ ও বিগ ব্যাশ লিগের ট্রেবল জেতেন। এছাড়া আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হেড কোচও ছিলেন। উদ্বোধনী দ্য হান্ড্রেডে বার্মিংহ্যাম ফিনিক্সের কোচিংয়েও ডাক পান, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে যোগ দেননি।