কৃষ্ণসাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার সেই যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত: ১২:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২২ | আপডেট: ১২:১৮:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক- কৃষ্ণসাগরে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত রুশ যুদ্ধজাহাজ মস্কভা ডুবে গেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মিসাইল ক্রুজার মস্কভা ছিল দেশটির সমর ক্ষমতার প্রতীক। কৃষ্ণ সাগর থেকে ইউক্রেনে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিল জাহাজটি।

আগুন লাগার পর জাহাজটি ডুবে যায় বলে আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত রাশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম জাহাজটিতে কিভাবে আগুন লাগল তা নিয়ে দুই রকম দাবি করেছে কিয়েভ আর মস্কো।

কিয়েভের দাবি, যুদ্ধজাহাজে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। মিসাইল হামলায় জাহাজটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। কৃষ্ণসাগরে অবস্থিত জাহাজটিতে বুধবার হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের ওডেসার গভর্নর।

এর আগে রাশিয়াও মস্কভা মিসাইল ক্রুজার নামে ওই যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে। যদিও এর কারণ হিসেবে তারা ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার কথা স্বীকার করেনি। তারা বলছে, জাহাজটিতে রাখা গোলাবারুদে বিস্ফোরণের পর আগুন ধরে গিয়েছিল।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, সোভিয়েত আমলের মিসাইল ক্রুজারটির আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু পরে বৃহস্পতিবার রাশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলো মস্কভার ডুবে যাওয়ার খবর দেয়।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক কমান্ড দাবি করেছিল, ইউক্রেন নির্মিত জাহাজ-বিধ্বংসী নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর রুশ যুদ্ধজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৪ সালে রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নেওয়ার পর কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌ শক্তির হুমকি রুখতে ওই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে দেশটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কভা ১৯৮৩ সালে সোভিয়েত নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ১৬টি জাহাজ বিধ্বংসী ‘ভালকান’ ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে পারতো মস্কভা, সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অন্তত ৭০০ কিলোমিটার। ২০২১ এর এপ্রিলে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল মস্কভাকে ‘কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে ব্যর্থতার আবর্তে থাকা রাশিয়ার জন্য মস্কভা যুদ্ধজাহাজের ক্ষতি আরেকটি বড় ধাক্কা। যুদ্ধের ৫০তম দিনে জাহাজটি হারাল রাশিয়া, যখন তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে বড় ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এদিকে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা থেকে তাদের বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে। নতুন হামলার জন্য সেখানে নতুন করে সমরসজ্জা চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা।

গতকাল বুধবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘রুশ বাহিনী তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনের দক্ষিণ এবং পূর্বের অঞ্চলগুলোতে তৎপরতা জোরদার করেছে