বিনোদন ডেস্ক: ইমরান হাশমির ‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমাটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সেখানে ইমরান হাশমিকে যেমন পছন্দ করেছেন দর্শক, একই সঙ্গে মনে জায়গা দিয়েছিলেন তনুশ্রী দত্তকেও। কিন্তু দর্শকপ্রিয় হলেও এরপর পর্দায় খুব একটা দেখা যায়নি তনুশ্রীকে।
২০০৩ সালে মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জিতেছিলেন তনুশ্রী। পেশায় মডেল থেকে অভিনেত্রী, যেমনটি আরও অনেক তারকারই জীবনের গ্রাফ। বলিউডে একের পর এক কাজের প্রস্তাবও পেতে শুরু করেন তিনি। ২০১০ পর্যন্ত টানা কাজ করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ দেশ ছেড়ে পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু মানুষের আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ। যুক্তরাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা শেষে ওখানকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরির সুযোগ আসে। পেয়ে যান সেখানকার গ্রিন কার্ডও। তবু শেষমেশ মন টিকল না।
বিরতি ভেঙে এবার পর্দায় ফিরছেন তনুশ্রী। তেমনটিই আভাস দিলেন তিনি। প্রস্তুতি পর্বে এরই মধ্য ১৭ কেজি বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলেছেন। সদ্য পোস্ট করা একাধিক ছবিতে তাঁকে আগের মতোই ছিপছিপে দেখাচ্ছে। হঠাৎ তাঁর পরিবর্তন দেখে আশায় বুক বাঁধছেন ভক্তরাও। তবে কি সত্যি সত্যিই আবার পর্দায় দেখা যাবে ‘আশিক বানায়া আপনে’র নায়িকাকে!
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে তনুশ্রী লিখেছেন, ‘আমি বরাবরই নিয়মানুবর্তী, গোছানো মানুষ। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগে চাকরির প্রস্তাব আমার কাছে খুবই আনন্দের, চাকরিটাও নিরাপদ। কিন্তু ওই চাকরিতে ঢুকলে আগামী ৩ বছর দেশে ফিরতে পারতাম না। তা ছাড়া ভেবে দেখলাম, অভিনয়ের সাধটা এখনো শেষ হয়ে যায়নি আমার।’
অভিনয়জগৎ থেকে দূরে থাকলেও অভিনেত্রীদের ওপর যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলন নিয়ে সরব হয়েছিলেন তনুশ্রী।
২০১৮ সালে নতুন করে নানা পাটেকর, গণেশ আচার্যদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে সংবাদ শিরোনামে আসেন তিনি। তবে বাজে অভিজ্ঞতাগুলো জীবন থেকে ঝেড়ে ফেলতে চান তিনি।
তনুশ্রীর জানান, ‘ভালো লোকও তো আছে ইন্ডাস্ট্রিতে। এখনো ভালো কাজের প্রস্তাব আসে। তাই খারাপ দিকগুলো মন থেকে সরিয়ে রেখে আরও একবার বলিউডে হাঁটতে চাই।’