বড়লেখার শাহবাজপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভুমিদাতার নাম ফলক থেকে দুই জনের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় স্কুল প্রতিষ্ঠার ১৩ বছর আগে মারা যাওয়া ব্যক্তিকে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠাকালিন ভুমিদাতা সদস্য করার অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের ভুমিদাতাদের নাম ফলক থেকে প্রতিষ্ঠাকালিন দুই ভুমিদাতার নাম সরিয়ে নতুন দুইজনের নাম সংযোজন করায় বঞ্চিত ভুমিদাতা মুকুল আহমদ গত ২ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ভোগা গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মালিক, আব্দুল হালিম, আব্দুল কাদির, আব্দুল হাছিব এবং করমপুর গ্রামের যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়ুব আলী ও তার ছেলে মুকুল আহমদের দানকৃত ভুমিতে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী ‘শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠা কাজের উদ্বোধন করেন। প্রতিষ্ঠাকালিন এই সাতজন ভুমিদাতার নাম লিখে একটি নামফলক স্কুলে স্থাপন করা হয়। সম্প্রতি স্কুলের নাম ফলকে প্রতিষ্ঠাকালিন ভুমিদাতা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়ুব আলী ও তার ছেলে মুকুল আহমদের নাম সরিয়ে ফজলুর রহমান ও তুতিরুন নেছার নাম সংযোজন করায় বঞ্চিত ভুমিদাতা ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং এলাকাবাসীেদর মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
প্রতিষ্ঠা কালিন ভুমিদাতা সদস্য মুকুল আহমদ জানান, ১৯৯২ সালে ফজলুর রহমান মারা যান। এর ১৩ বছর পর শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি অভিযোগ করেন কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠাতা জমিদাতার নামফলক থেকে আমি ও আমার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ময়ুব আলীর নাম সরিয়ে মৃত ফজলুল রহমান ও তুতিরুন নেছার নাম সংযোজন করেছেন। উনারা কি কবর থেকে এসে স্কুলের নামে জমি রেজিষ্ট্রী করে দিয়ে গেলেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় আমি ও আমার বাবা স্কুলের নামে জমি লিখে দেই। নাম ফলকেও অন্যান্যের সাথে আমাদের নাম ছিল। একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে স্কুল থেকে আমাদের নাম সরানোর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। স্কুলের কোন অনুষ্ঠানে কোনদিনই আমাদের সম্পৃক্ত করা হয় না। কুচক্রী মহলটি এবার একেবারেই আমাদের নাম মূছে দেয়ার ষড়যন্ত্রে নেমেছে।
এব্যাপারে জানতে সোমবার দুপুরে শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কয়ছর আহমদের মুঠোফোনে বাববার যোগাযোগ করা হয়। ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, প্রতিষ্টাকালিন দুইজন ভুমিদাতা সদস্যকে বাদ দিয়ে নতুন দুই জন ভুমিদাতার নাম অর্ন্তভুক্ত করা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।