টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাসাবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন মানুষ।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অসামরিক প্রশাসনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটে বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত বলেন, বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। যেভাবে পানি বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসবে।
ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সিলেট জেলার নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীর তীর উপচে নতুন করে বিভিন্ন বাড়িঘরে পানি ঢুকছে। এমন অবস্থায় বন্যাকবলিত পরিববারগুলো দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের আশঙ্কা করছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, সিলেট নগরের ৮ থেকে ১০টি এলাকা ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও সদর উপজেলার অন্তত ৫০০ গ্রাম এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের ভেতরে পানি ঢুকে পড়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে।