জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
ত্রাণের গাড়ী দেখলেই ত্রানের জন্য গাড়ীর পিছে দৌড়ছে অসহায় দুর্গতরা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরের পৌর পয়েন্ট এলাকায়।
ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলে শহরের প্রধান সড়ক জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ-আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের শহরের একাংশ পানি কমে যাওয়ায় সীমিত আকারে যান চলাচল করছে। এসব যানের মধ্যে ত্রাণের গাড়ী দেখলেই বানবাসি লোকজন ছুটছেন পিছনে। গত কয়েকদিন ধরে সরকারী বেসরকারীভাবে গাড়ীতে করে ত্রাণ পৌঁছানো হচ্ছে উপজেলা সদরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে একটি সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ভ্যানগাড়ীতে করে ত্রান শহরের দিকে যাওয়ার সময় শিশু, নারী-পুরূষসহ বিভিন্ন বয়সী দুর্গত লোকজনে ওই গাড়ীর পিছতে দৌড়ে দেখা যায়।
ত্রাণের পিছনে দৌড়াছিলেন নেত্রকোনা জেলার জ্যোৎসা বেগম। এসময় কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি জানান, দীর্ধদিন ধরে শহরের একটি কলোনিতে বসবাস করছেন। শনিবার ঘরে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন পৌরসভার কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায়। পানিতে সব কিছু ভেসে যাওয়ায় রান্না করার জন্য সুযোগ নেই। আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রান দেয়া হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। গাড়ীতে করে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে শুনে ত্রাণের জন্য ছুটছিলাম।
জানা যায়, উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্রে ত্রাণ না পাওয়ায় খাদ্য সংকটে ভূগছে আশ্রিত মানুষ। গত বৃহস্পতিবার থেকে জগন্নাথপুর উপজেলায় সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি এলাকার প্রবাসী, বিত্তশালী ও বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।
জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মাসুম আহমেদ জানান, পাইলগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছে নি। ত্রানের জন্য মানুষ হাহাকার করছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা আব্দুর রব জানান, ইতিমধ্যে ৯৩ মেট্রিক্স টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, সব ইউনিয়নে চাল বন্ঠন করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরণ চলছে।আমি নিজেও ত্রাণ বিতরণ চালিয়ে যাচ্ছি।