মিনহাজ হোসেন ইতালি থেকে:
সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাতারেল্লা।
সাধারণ মানুষের মধ্যে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবেই পরিচিত সাবেক সেন্টাল ব্যাংক অব ইউরোপের প্রেসিডেন্ট ও ব্যাংক অব ইতালির গভর্নর মারিও দ্রাঘী। তবে ইতালীয়রা তাকে ‘সুপার মারিও’ বলে ডাকেন।
বুধবার (২০ জুলাই) ৩২১ আসনের সিনেটের ভোটে তিনি ৯৫ জনের সমর্থন পেয়েছেন। মারিও দ্রাঘীর বিদায় তখনই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে যায়।
৭৪ বছর বয়সী মারিও দ্রাঘীর বিদায়ে ইতালির মুদ্রাস্ফীতি, বাজেট বিলম্বিত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের করোনা মহামারির তহবিল হুমকিতে পড়তে পারে। ইতালি ও ইউরোপের অর্থ ও বাণিজ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো এমনটিই মনে করেছে।
সবশেষ জাতীয় ঐক্যের সরকারের যে ধারণা নিয়ে এগিয়েছিলেন দ্রাঘী, তা ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ইতিবাচক হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নতুন নির্বাচন বা আরেকটি জোট সরকার আসতে দুই থেকে চারদিন লাগতে পারে। তবে সামনের শরতে নির্বাচন হলে অভিবাসনবিরোধীরা ক্ষমতায় আসার ব্যাপক শঙ্কা তৈরি হয়ে যাবে। বিভিন্ন জনমত জরিপও তাই বলছে। ইতালিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য যা আসলে শঙ্কার কথাই।