প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো ধর্মঘট করছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।
বুধবার (৩ আগস্ট) সকালেও তারা আন্দোলন করেন। এর আগে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেল ৫টায় পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এরপর থেকে ক্লাস, পরীক্ষাও বর্জন করেছেন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে ইন্টার্নরা ধর্মঘট ডাকলেও সেবা কার্যক্রম অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাফওয়ান বলেন, সব আসামি গ্রেপ্তার এবং শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় দৃশ্যমান উদ্যোগ না নেওয়া পর্যন্ত আমরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবো। কর্মবিরতি ছাড়াও নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দুই শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সোমবার রাত থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা। রাতেই কর্মবিরতির ডাক দিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার ভোর রাতে দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরেন শিক্ষার্থীরা। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়। বৈঠকে সমঝোতা না হওয়ায় পুনরায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ইতোমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা হামলাকারী সবাইকে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে বৈঠক থেকে চলে আসেন।
ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন, আমরা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে একমত। তাদের দাবি পূরণে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তবে সব দাবি পূরণে কিছুটা সময় লাগবে। আমরা তাদের কাছে এই সময়টুকু চেয়েছি। এখনও আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুই ছাত্রের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। আহত দুই ছাত্র হলেন, মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র নাইমুর রহমান ইমন (২৪) ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রুদ্র নাথ (২২)।