স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সাংস্কৃতিক পৃষ্ঠপোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান খোন্দকার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যক্ষ এ,কে,এম সফি আহমদ সলমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বেগম ফাতিহা ফেরদৌস চৌধুরী পপি, কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তদন্ত আমিরুল ইসলাম, কুলাউড়া কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল মোমিন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান-এর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের জন্মদিন। তিনি ১৯৪৯ সালের ৫ই আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কামাল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর এডিসি হিসেবে কাজ করেন।
শেখ কামাল শাহীন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ (অনার্স) পাস করেন। যুদ্ধের পর তিনি সেনাবাহিনী ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যান। সেখান থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই তিনি ক্রীড়াবিদ সুলতানা খুকিকে বিয়ে করেন। ঢাকা আবাহানী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা।
পঁচাত্তরের পনেরই আগস্ট নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রধান লক্ষ্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেও এ দিনের ঘটনায় প্রথম শহীদ হন শেখ কামাল। বক্তারা বহুগুনের অধিকারি শেখ কামাল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ ঐদিন শাহাদাতবরনকারি সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
সভা শুরুর আগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।