চীনের বাজারে বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাবে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সুবিধা চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
রোববার (৭ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠকে বসেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা দেড় ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে চীন আরও ১ শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন থেকে চীনের বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। এর মধ্যে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বলেও জানান তিনি।
চীন সর্বপ্রথম ২০১০ সালের ১ জুলাই স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সে দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদান করে। ওই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশসহ ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশ চীনের ৬০ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
পরে ২০২০ সালের ১৬ জুন শর্তহীনভাবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ রপ্তানি পণ্য (৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য) দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় চীন, যা ওই বছরের ১ জুলাই কার্যকর হয়। এরপর ২০২২ সালের শুরুতে বাংলাদেশের আরও ১ শতাংশ পণ্যকে (৩৮৩টি) শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় দেশটি। সর্বশেষ নতুন করে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধাকে আরও ১ শতাংশ বাড়িয়ে দেশটির বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধার ঘোষণা দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, গত দুই অর্থবছর চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন ডলারও ছুঁতে পারেনি। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার।
চীনে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য ওভেন গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ঢাকায় পৌঁছেন। বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছালে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সফর শেষে আজ ওয়াং ই ঢাকা ত্যাগ করবেন।