চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কন্টেইনারবাহী জাহাজ “কেপ ফ্লোরেস”-কে ইতালির রাভেন্না বন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
মিনহাজ হোসেন ইতালি থেকে: ইতালির অন্যতম বৃহৎ সমুদ্র বন্দর রাভেন্না’য় কন্টেইনারবাহী জাহাজ ‘এমভি কেইপ ফ্লোরেস ভয়েজ ০০৭ডব্লিউ’-কে ১০ আগস্ট ২০২২ তারিখ সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে স্বাগত জানান ইতালি, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ শামীম আহসান। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ২৪ জুলাই ২০২২ তারিখ রওনা দিয়ে মাত্র ১৮ দিনেই ৫০৭ টি কন্টেইনার বহনকারী এই জাহাজটি বাংলাদেশি তৈরি পোশাক, চামড়াজাত দ্রব্যাদি প্রভৃতি নিয়ে সরাসরি ইতালির উক্ত বন্দরে নোঙর করে। রাষ্ট্রদূত এটিকে আনন্দ আর গর্বের এক বিশেষ মুহুর্ত আখ্যা দিয়ে ক্যাপ্টেন জনাব লিওপোলদো জোভিতো মস্কা’র কাছ থেকে কন্টেইনারগুলো গ্রহন করেন। ঐতিহাসিক এই মুহুর্তে রাভেন্না বন্দরের প্রেসিডেন্ট জনাব জিয়ানানতোনিও মিনগোজ্জি এবং ‘রিফলাইন ইতালি’-র (RifLine Italy S.p.a) প্রেসিডেন্ট জনাব জর্জিও ভরিয়া উপস্থিত ছিলেন। ইতোপূর্বে রাভেন্না বন্দরের স্থানীয় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সেক্রেটারি জনাব পাওলো ফেরান্দিনো এবং ডেপুটি মেয়র মিজ্ ইউজেনিও ফুসিনানির সাথে রাষ্ট্রদূত সাক্ষাত করেন। বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে সরাসরি জাহাজ চলাচলের প্রারম্ভিক কাজে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ উদ্যোগের অর্থনৈতিক কার্যকারিতা নিশ্চিত করে দু’দেশের পারস্পরিক সুবিধা আনয়নের লক্ষ্যে সর্বদা তিনি তাঁর সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন। দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর জনাব মানস মিত্র এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ-ইতালি রুটে চট্টগ্রাম এবং রাভেন্না বন্দরের মধ্যে উভয় দিকেই ইতোমধ্যে কয়েকবার সরাসরি জাহাজ চলাচল করেছে। সরাসরি জাহাজ চলাচলের এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ইতালি বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নব দিগন্ত উন্মোচিত হ’ল যা দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি, বিশেষ করে ইতালিসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি বহুগুণে প্রসারিত করবে। এ উদ্যোগের ফলে দু’দেশের মধ্যে মালামাল পরিবহনের ব্যয় ৪৫-৫০ শতাংশ কমে যাবে যেহেতু জাহাজ চলাচলের সময় পূর্বের ৪৫ দিন থেকে কমে এখন ১৫-১৮ দিনে নেমে গেছে।ইতালিয়ান পোশাক আমদানিকারক এবং মালামাল পরিবহনকারী সংস্থা ‘রিফলাইন (RIF Line)’ ও এর অংগসংস্থা ‘ক্যালিপসো কোম্পানিয়া’ এর যৌথ উদ্যোগের ফলে নতুন এই নৌপথ আবিষ্কৃত হ’ল। বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ বৃহত্তর রপ্তানি গন্তব্যের দেশ (প্রায় ২.৩ বিলিয়ন) ইতালির সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সুদৃঢ় এবং প্রসারিত করার লক্ষ্যে রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে ইতালিয়ান কোম্পানিগুলোর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।