অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার শক্তি বাংলাদেশের আছে: আইএমএফ

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২২ | আপডেট: ১:০১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২২

অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার শক্তি বাংলাদেশের আছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আইএমএফের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দ এ কথা বলেন। এ সময় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন সংস্থাটির পলিসি অ্যান্ড রিভিউ ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর উমা রামাকৃষ্ণান।

 

আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অক্টোবরে নেওয়া হবে। আইএমএফ এর ঋণের সঙ্গে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্পর্ক নেই।

রাহুল আনন্দ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো সংকটময় পরিস্থিতি নেই। বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন। বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা। বাংলাদেশের ঋণখেলাপি হওয়ার ঝুঁকি খুবই কম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ তুলনামূলক অল্প, যা জিডিপির ১৪ শতাংশের মতো। সে কারণেই দেশটির ঋণখেলাপির পথে যাওয়ার ঝুঁকি কম। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা করার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আইএমএফ প্রস্তুত এবং তহবিল বিষয়ে নিয়ম মাফিক নীতিমালা ও প্রক্রিয়া অনুসারে আইএমএফের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রোগ্রাম ডিজাইন বিষয়ে আলোচনা করছেন। অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আইএমএফের বার্ষিক সভা হবে। সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

 

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশই ডলারের বিপরীতে তাদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করেছে। বাংলাদেশও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করেছে। যদিও বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে এসেছে, তারপরও বর্তমানের রিজার্ভ দিয়ে দেশের চার থেকে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।

এর আগে আইএমএফের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এসেছিল। ৯ দিনের ওই সফরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইএমএফের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে সাড়ে ৪ বিলিয়ন (প্রতি কিস্তিতে দেড় বিলিয়ন) ডলার ঋণ চাওয়া হয়।