স্টাফ রিপোর্টারঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারে ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ২৮ আগষ্ট রোববার। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী তার বানীতে বলেন, একুশে পদক-এ ভুষিত, আব্দুল জব্বার গণতন্ত্র প্রতিষ্টা, আইনের শাসন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখা,নেতা কর্মীদের নির্যাতন নিপীড়ন এর প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন সব সময়।তার সততা তরুন রাজনীতিবীদদের জন্য অনুসরনীয় হয়ে থাকবে।
১৯৬২ এর শিক্ষা-আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচন, ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তিনি উলেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এজন্য তাকে কারাবরণ ও অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল।
এদিকে, আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুল জব্বার ফাউন্ডেশন, যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইউকে বিডি টিভি ও পরিবারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- স্মরণসভা, ভার্চুয়ালি আলোচনা অনুষ্ঠান, মরহুমের কবরে পুস্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।