বাংলাদেশের সব ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনার পেছনে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা থাকে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। অনেকে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানাতে চাচ্ছে…একটা কথা মনে রাখবেন বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি ২০১১ থেকে ২০০৬ সালে তো হয়েই গেছে। পানি, বিদ্যুৎ, সার সংকট, জঙ্গি উত্থান। আমাদের যাতে অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকে, সেজন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। প্রত্যেকটা অর্থনেতিক উন্নয়নের আগে চিন্তা করি, এতে দেশের কি উন্নয়ন হবে। আমরা এটা চিন্তা করি না যে, এই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিলে কত পারসেন্ট থাকবে, এটা চিন্তা করে শেখ হাসিনা কোনো পরিকল্পনা নেয় না।
‘আমরা কখনো ধার করে ঘি খাই না। আমরা কারো কাছে আটকা পড়ে যাবো না। যেখান থেকে ঋণ নিচ্ছি তা আমরা পরিশোধ করে দিচ্ছি।’
এ সময় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং জ্বালানি সংকটের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে বিদ্যুৎ-পানি ও জ্বালানি তেল ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যায়ী হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তেলের দাম, কয়লার দাম বেড়ে গেছে। আমরা গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হচ্ছে, লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। আমরা যাতে বৈশ্বির মন্দার ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত না হই, সেজন্য আগেভাবে সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে।
করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে প্রত্যেকটা উন্নত দেশ বিদ্যুতের অভাব। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের। পানির অভাব। জার্মানিতে গরম পানি ব্যবহার করতে পারবে না। খাবারের দাম বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। যুদ্ধের এটা ফলাফল। আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি। তেল আমরা বেশি দামে কিনি, কম দামে বেঁচে ভর্তুকি দেই। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করতে হয়। আমরা তেলের দাম ইতিমধ্যে ৫টাকা করে কমিয়ে দিয়েছি।