আরাকান আর্মি (এএ) ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মধ্যে চলমান যুদ্ধবস্থায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বাংলাদেশের মাটিতে পড়েছে। আর এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর আগে, গত ২৮ আগস্টেও দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রুর উত্তর মসজিদের কাছে পড়েছিল।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এ ঘটনা ঘটে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে যথাযথ সতর্ক অবস্থায় আছে। জেলার সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১-এর মাঝামাঝি স্থানে সকালে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দিচ্ছিল। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয়। এ ছাড়া হেলিকপ্টার গানশিপ থেকেও ৩০ থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলি করে। এ সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা দুটি পড়ে। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকালে ফের দুটি গোলা এসে আমাদের দেশের অভ্যন্তরে পড়েছে। এতে দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট দুপুর ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রুর উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে গত সোমবার ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ অং কিয়াউ মোকে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায়।