জগন্নাথপুর প্রতিনিধি:
ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা বাড়ি ছাড়লেও ৫দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রেমিক। উদ্ধার হয়েছেন প্রেমিকা। প্রেমিকার মায়ের দায়ের করা অপহরণ মামলায় প্রেমিক তরুণকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার শ্যামারগাঁও গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের শ্যামারগাঁও গ্রামের চান উদ্দিনের ছেলে সালমান হোসেনর (১৮) সঙ্গে একই গ্রামের ছইল মিয়ার ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে তৈইয়াবা আক্তার সিমার (১৫) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে গত মঙ্গলবার বাড়ি ছাড়েন ওই প্রেমিক যুগল। তাদের এই প্রেম মেনে নিতে পারেনি সিমার পরিবার।
আজ শনিবার সিমার মা রুনা বেগম বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় প্রেমিক সালমানের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ একই গ্রামে অভিযান চালিয়ে সালমানের খালার বাড়ি থেকে প্রেমিকে গ্রেপ্তার করে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে এবং প্রেমিকা সিমাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
প্রেমিক সালমানের বাবা চান মিয়া বলেন, তাঁরা একজন আরেকজনে ভালোবাসে। বিয়ের বয়স হয়নি ঠিক। বয়স হলে বিয়ে দেওয়া যেতো। কিন্তু ভালোবাসার অপরাধে আমার ছেলে আজ জেলে। ভালোবাসা যদি অপরাধ হয়, তাহলে মেয়েটিকেও জেলে পাঠানো হোক।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী রুনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করতে এজাহারে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল করা হলে একজন পুরুষ কল রিসিভ করে বলেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি তাঁর নাম বলতে অনইচ্ছা প্রকাশ করে কল কেটে দেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফজল মিয়া বলেন, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি তার ইচ্ছায় ছেলেটির সাথে পালিয়ে যায়।
এদিক, প্রেমিক যুগলের এ বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার সালমানকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ কারাগারে এবং উদ্ধারকৃত মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।