যুক্তরাজ্যে হুয়াওয়ের ফাইভজি সরঞ্জাম এবং সেবা নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত যুক্তরাজ্যের জাতীয় সুরক্ষার সঙ্গে মোটেই সম্পর্কিত নয় বরং এর পেছনে আমেরিকার চাপ দায়ী বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ভিন্স কেবল।
ডেভিড ক্যামেরনের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা ও শিল্পমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বরত ভিন্স কেবল সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় বলেন, ‘চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ‘কারণ যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বলেছিল আমাদের এটি করা উচিত।’
২০২০ সালের জুলাইয়ে বরিস জনসন সরকার ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার (এনসিএসসি) এর দেয়া নতুন পরামর্শের উদ্ধৃতি দিয়ে ঘোষণা করেন যে, ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ হুয়াওয়ের পণ্য যুক্তরাজ্যের ফাইভজি নেটওয়ার্ক থেকে সম্পূর্ণরূপে সরিয়ে দেয়া হবে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বা পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের পরিপন্থী হিসেবে কাজ করছে, এমন ধারণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং এর কয়েক মাস পরে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়েকে মাইক্রোচিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ক্রয়ে বাঁধা দেয় এবং প্রতিষ্ঠানটিকে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম তৈরিতে বাধ্য করে।
যুক্তরাজ্যের অনেক কর্মকর্তার তুলনায় চীনের প্রতি অধিক সহানুভূতিশীল হিসেবে পরিচিত ভিন্স কেবল আরও জানিয়েছেন যে, মন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদকালে গোয়েন্দা এবং নিরাপত্তা সেবাদাতারা বারবার আশ্বাস দিয়েছিল যে হুয়াওয়ের সেবা ব্যবহার করে কোনোরূপ ঝুঁকি তৈরি হয়নি।
কেবল বলেন, ‘ব্রিটেন যদি ফাইভজি’র এ সুবিধা গ্রহণ করতো, তাহলে আমরা এখন সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে থাকতাম। কিন্তু এখন আমরা সে অবস্থানে নেই।’
এদিকে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করার বৈধতা নিয়ে যুক্তরাজ্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে চীন এবং দাবি করেছে, ব্রিটিশ গোয়েন্দারা হুয়াওয়ের বিষয়ে কাজ করেছিল এবং সিদ্ধান্ত পৌঁছেছিল যে, চীনা টেলিকম জায়ান্টটি জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো ধরনের হুমকি নয়।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান তার এক বক্তব্যে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কিছু লোক রাজনৈতিক স্বার্থে একটি নির্দিষ্ট দেশের কাছে মাথা নত করেছিল এবং কিছু চীনা উদ্যোগকে দমনে করেছে।’